চলন্ত ট্রেনে প্রসূতি নারীর সন্তান প্রসব

আভা ডেস্কঃ চলন্ত ট্রেনেই এক প্রসূতি নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান জন্মদানকারী ওই নারী ও তার নবজাতক ছেলে সন্তানকে রেল কতৃপক্ষের সহযোগিতায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাটোরের আব্দুলপুর স্টেশনের কাছে ওই প্রসূতি সন্তান প্রসব করেন। ওই প্রসূতির নাম সাবিনা ইয়াসমিন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাড়ি ট্রেনে তিনি রওনা করেছিলেন।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ওই প্রসূতি রাত ৮টার দিকে ভেড়ামারা স্টেশনে সাগরদাঁড়ি ট্রেনের ‘ছ’ বগিতে ওঠেন। এরপর পরই তার প্রসব বেদনা শুরু হলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি ট্রেনের কন্ডাক্টিং গার্ড রুবায়েত হাসান জানতে পারেন।

তিনি বিষয়টি গার্ড ইনচার্জ আজিমুল হোসেনকে জানালে ট্রেনের মাইকে সন্তান প্রসবের ব্যাপারে একজন চিকিৎসকের সাহায্য কামনা করা হয়। মাইকে ঘোষণা শুনে একজন নারী চিকিৎসক নির্ধারিত কামরায় গিয়ে বাচ্চা প্রসবের কাজটি সম্পূর্ণ করেন।

ঘটনাটি পশ্চিমাঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি গুহ জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে রেলের অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করেন এবং রোগীকে  জরুরি ভিত্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রোগীকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাচ্চা এবং প্রসূতির অবস্থা ভালো। কোনো ঝুঁকির কারণ নেই।

এদিকে, সাগরদাঁড়ি ট্রেনে বাচ্চা প্রসব করানোর ব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ায় ট্রেনে দায়িত্ব পালনকারী সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে শনিবার বিকেল ৩টায় রাজশাহী রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার মিহির কান্তি গুহ।

 

Next Post

রাজশাহীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

শুক্র সেপ্টে. ১৭ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ রাজশাহী নগরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শুক্রবার (১৭ সেপ্টম্বর) সকালে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান- রাজশাহী সিটি ভবনের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links