বাস শ্রমিকদের মাঝে দিকনির্দেশনা মূলক নিয়মাবলীর লিফলেট বিতরণ ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গণপরিবহনে স্বাস্থবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের কিছু দিক নির্দেশনাসহ নিয়মাবলীর লিফলেট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) রাজশাহী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহীর ভদ্রা মোড় ও শিরোইলের ঢাকা বাস স্ট্যান্ডে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক, রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশ (ট্রাফিক ডিসি) অনর্বান চাকমা,  রাজশাহী বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এএমএস মামরুল হাসান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনি খাতুন, মোটরযান পরির্দশক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেনসহ শ্রমিক ও বিআরটিএ এর কর্মীরা ‍উপস্থিত ছিলেন।

নিয়মাবলীর মধ্যে ছিল, প্রতিবার মোটরযান ছেড়ে যাওয়ার আগে ভেতরসহ সবকিছু ( মেঝে, দরজার হাতল, হ্যান্ডেল, স্টিয়ারিং হুইল) পরিস্কার এবং জীবানুমুক্ত করার  স্প্রে ব্যবহার করা। গাড়ির সিট ও সিটকভার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচচ্ছন্ন রাখতে হবে। চালক, কান্ডাক্টর, হেলপারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য হাতের গ্লাভস, মুখে মাস্ক পড়তে হবে। প্রয়োজনে সুরক্ষা পোষক পড়তে হবে। কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি অথবা জীবানুনাশক দিয়ে বারবার দুই হাত ধুতে হবে।

যানবাহনে ওঠানামা এবং যানবাহনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের পরিবহনের সময় পরস্পরের মাঝে তিন ফুটের বেশি দূরত্ব বজায় রাখা। যাত্রী ওঠানোর সময় শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপসহ যাত্রীর মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে হবে।

মোটরযান চলাচলের সময়ে সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে জানালা খুলে রাখতে হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহনের ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সর্বোচ্চ নজর দেয়া (হাঁচি বা কাঁশির সময় টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে ফেলা, যাখানে-সেখানে কফ ও থুতু না ফেলা, অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক মুখ ও চোখ স্পর্শ না করা।

গাড়ি চলানোর বিরতিতে বা বিশ্রামের মাঝে চালকগণ একত্রিত না হয়ে যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল ও যোগাযোগ করা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে কাজে যেতে নিষেধ করা।

কেউ হাঁচি, কাঁশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে যথাসম্ভব পরিবহন না করা। কারো সাথে হাত না মেলানো এবং কোলাকুলি না করা। বিশ্রাম ও খাবারের জন্য খোলা জয়গা বেছে নেয়া। এছাড়া গাড়িতেই খাবার গ্রহণ করা। যেকোনো লোকসমাগম বা ঘনবসিতপূর্ণ জায়গা সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলা।

এর আগে যাত্রীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে যানবাহন পরিচালনা ও যাত্রীদের চলাচলের জন্য মাইকিংও করা হয়।

 

Next Post

রামেক হাসপাতালের ইএমও ডাঃ জাহিদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ

বৃহস্পতি জুন ১৮ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডাঃ জাহিদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ভর্তি রেজিস্ট্রারে আঘাতের বিবরণ যাই নোট করা থাকুক না কেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সহজের মিলে গুরুতর জখমের সার্টিফিকেট। ভোক্তভোগীদের অভিযোগ প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০টি সার্টিফিকেট দেয়া হয় ২০/৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links