নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এজেএম ইদ্রিস আলী (৬৭) ও সহকারী অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম (৫৬) মারা গেছেন। শনিবার সকালে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশনে তারা মারা যান।
এ নিয়ে দু’দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হল। এর আগে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার পুতুলসহ ২ জন মারা যান। করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বগুড়ায় ৭ জন ও ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়ে শহরের নাটাইপাড়ার গোলাম রব্বানী বাবুল (৬০) মৃত্যুবরণ করেন।
মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার অর্গানাইজার মিজানুর রহমান জানান, তারা শনিবার মৃত তিনজনের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করেছেন।
ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শহরের রিয়াজ কাজী লেনের বাসিন্দা দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এজেএম ইদ্রিস আলী শনিবার ভোর ৫টায় মারা যান।
তিনি কয়েকদিন আগে করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে নমুনা দেন। ২ জুন পাওয়া রিপোর্টে করোনা পজিটিভ হন। দু’দিন বাড়িতে থাকার পর অসুস্থতাবোধ করলে ৪ জুন আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিলেন।
শনিবার বেলা ১০টার দিকে বগুড়া কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ধাওয়াপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মারা গেছেন। তিনি উপসর্গ নিয়ে গত ৩০ মে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ১ জুন তার করোনা ধরা পড়লে পরদিন আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়।
এ ছাড়া শনিবার সকাল ৯টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়ে শহরের নাটাইপাড়ার গোলাম রব্বানী বাবুল মারা গেছেন। এ নিয়ে বগুড়া আইসোলেশন ইউনিটে ৪ জন, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হল।
এর আগে ২১ মে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার পুতুল করোনা আক্রান্ত হয়ে শহরের কালিতলার বাড়িতে মারা যান। শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হল। ১১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এ ছাড়া ঢাকায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে, চিকিৎসক, সাংবাদিক, আনসার কর্মকর্তা, নেভির গাড়িচালকসহ ৫ জন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা হাসপাতালে মারা গেছেন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়ার অর্গানাইজার মিজানুর রহমান জানান, তার সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা এবং দাফন করছেন।