পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী নিয়ে বাড়ি ফিরলো কৃষক

আরিফুল ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি:  শেষ হলো চলনবিলের ধান কাটা। নিজ গৃহে ফিরে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শ্রমিকরা। যাবার আগে প্রত্যেক শ্রমিককে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী।

কৃষকদের উৎসাহ দিতে ওই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণকরেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে চলনবিলে ধান কাটতে আসা প্রায় ১০০ জন শ্রমিকের মাঝে ওই পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিল বিলশা মাঠে গিয়ে দেখাযায়, শ্রমিকরা বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছেন। প্রত্যেক শ্রমিকের মুখে দেখাযায় মৃদু মৃদু হাঁসি। এ বছর চলনবিলে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে শ্রমিকরা। পেয়েছে প্রতিদিন শুকনো খাবার, থাকার জন্য পেয়েছেন সুন্দর বাসস্থান,পেয়েছেন সার্বিক নিরাপত্তা।

প্রত্যেক শ্রমিকের হাতে দেখাযায় উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া উপহার সামগ্রীর একটি করে ব্যাগ। এ বছর চলনবিলে এসে ব্যপক উৎসাহ নিয়ে ধান কেটেছে শ্রমিকরা। কথা হয় পাবনা জেলার চাটমোহর থেকে আসা কৃষক জয়নালের সাথে।

তিনি জানান, এ বছর চলনবিলে ধান কাটতে এসে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এর আগে কখনও কোন জায়গায় এই রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি। চলনবিলে এসে বাসস্থান থেকে শুরু করে সার্বিক নিরাপত্তা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

ধান কাটা শেষে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী পেয়ে ভাল লাগছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন জানান,কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করার জন্যেই তাদের মাঝে পরিবহন ব্যয় ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায়১০০ জন কৃষকের মাঝে ওই সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে আরোকিছু সংখক কৃষকের মাঝে ওই উপহার সামগ্রী দেওয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

Next Post

করোনা ঝুঁকিতে বগুড়া বক্ষব্যধি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যক্ষা রোগীরা

শুক্র মে ৮ , ২০২০
দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া ২০ শয্যার বক্ষব্যধি হাসপাতালের একজন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মচারী এবং চিকিৎসাধীন যক্ষ্মা রোগীরা। করোনা উপসর্গ রয়েছে কি’না নিশ্চিত হতে ৭ মে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালের ২ চিকিৎসক, ৯ নার্সসহ ১৮জন কর্মচারী এবং ভর্তি থাকা ৬ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links