করোনা ঝুঁকিতে বগুড়া বক্ষব্যধি হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যক্ষা রোগীরা

দীপক সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া ২০ শয্যার বক্ষব্যধি হাসপাতালের একজন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় করোনা ঝুঁকিতে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মচারী এবং চিকিৎসাধীন যক্ষ্মা রোগীরা। করোনা উপসর্গ রয়েছে কি’না নিশ্চিত হতে ৭ মে বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতালের ২ চিকিৎসক, ৯ নার্সসহ ১৮জন কর্মচারী এবং ভর্তি থাকা ৬ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষার ফলাফল ৮ মে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

তবে করোনা সন্দেহাতীতদের খুব দ্রুতই ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন। পরীক্ষায় ওই হাসপাতালের এক বা একাধিক কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হন তাহলে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হবে এবং রোগীদেরকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিট ভর্তি করা হবে। তাছাড়া এখনি বক্ষব্যধি হাসপাতাল লকডাউনের কোন পরিকল্পনা তাদের নেই বলে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসিল আজিম চৌধুরী দাবী করেন।

বগুড়া সদরের নিশিন্দারা উপশহর এলাকায় অবস্থিত ২০ শয্যার বক্ষব্যধি হাসপাতালের একজন নার্সকে গত বুধবার রাতে করোনা পজিটিভ বলে সনাক্ত করা হয়। ওই নার্স করোনায় আক্রান্ত তার ভগ্নিপতি, তার বোন শহীদ জিয়াউর রহামন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত নার্স এবং ১২ বছর বয়সী ভাগ্নের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ৩ মে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এলেও অন্য কোন উপসর্গ না থাকায় ওই নার্সকে হাসপাতালের কাছেই তার ভাড়া বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আকস্মিকভাবে তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।

তাছাড়া ওই নার্সের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর বক্ষব্যধি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ এবং রোগীদের কি করা হবে- তা নিয়ে বুধবার রাতেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। এরপ্রেক্ষিতে ওই হাসপাতালে ৬জন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন সে কারণে হাসপাতালটি লকডাউন না করে প্রথমে সকল স্টাফ এবং রোগীদের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান।

বগুড়া বক্ষব্যধি হাসপাতাল সূত্র জানায়, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই হাসপালে কর্মরত ২ চিকিৎসক, ৯ নার্সসহ ১৮জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ৬জন রোগী বৃহস্পতিবার সকালে করোনা আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে যান। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, বক্ষব্যধি হাসপাতালের স্টাফ ও ভর্তি থাকাযক্ষ্মা রোগীদের সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ‘সংগৃহীত নমুনাগুলো নিয়ম অনুযায়ী বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গাওসিল আজিম চৌধুরী জানান, রিপোর্টে যার বা যাদের করোনা পজিটিভ আসবে তাদের হোমকোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। আর যাদের নেগেটিভ আসবে তারা যথারীতি হাসপাতালেই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে আপাততঃ ওই বক্ষ ব্যাধি হাসপাতালটি লক ডাউনে দেয়ার প্রয়োজন নেই।

Next Post

ধামইরহাটে করোনার ঝুকি নিয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানকে খুঁজছে বৃদ্ধ বাবা

শনি মে ৯ , ২০২০
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি: ভালো হোক মন্দ হোক, বাবা আমার বাবা-পৃথিবীতে বাবার চেয়ে আপন, আর আছে কেবা’ মুনিষীদের এই চিরন্তন সত্য কথা যেন আজিবনই সত্য। তেমনি এক দৃষ্টান্ত বৃদ্ধ বাবার ছেলেকে খোঁজা। প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সাধারণ মানুষ যখন গৃহবন্দি, ঠিক সেই সময় করোনা ভাইরাসের ঝুকি নিয়ে সন্তানকে খুজে ফিরছেন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links