পরামর্শক বানিয়ে মেয়েকে সাড়ে ৭ লাখ ডলার দিয়েছেন ট্রাম্প ।

আভা ডেস্কঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প করযোগ্য আয়ের পরিমাণ কম দেখাতে অবশেষে নিজ পরিবারের সদস্যকেই পরামর্শক হিসেবে দেখিয়েছেন।

এ খাতে ২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যয় করেছেন ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ডলারই গেছে মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের কাছে।
আর এভাবে তিনি এর ফি বাবদ একটি মোটা অঙ্কের অর্থকে ব্যবসায়িক ব্যয় হিসেবে দেখিয়েছেন। কর বিবরণীতে পরামর্শকদের কোনো পরিচয়ের উল্লেখ নেই। কিন্তু ২০১৭ সালে ইভানকা ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন, তখন তার দেয়া আর্থিক বিবরণীর সঙ্গে এ গোপন কর নথি মিলিয়ে দেখলে এর প্রমাণ মেলে।

সে সময় ইভানকা জানান, তিনি তার মালিকানা রয়েছে এমন একটি পরামর্শক সংস্থার কাছ থেকে ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬২২ ডলার ফি হিসেবে পেয়েছেন। হাওয়াই ও ভ্যাঙ্কুভারে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের মালিকানাধীন হোটেল প্রকল্প থেকে ঠিক এ পরিমাণ অর্থই পরামর্শক ফি হিসেবে দেয়া হয়েছিল।

অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন কোম্পানিতে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত রয়েছেন ইভানকা। ফলে তিনি সেই প্রকল্প থেকে পরামর্শক ফি নিয়েছেন, যার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে তিনি রয়েছেন এবং যার লভ্যাংশের একটি অংশ যায় তার পকেটে।

সিএনএনের এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ইভানকা ট্রাম্প একই সঙ্গে দুটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নিজের বাবার মালিকানাধীন কোম্পানিতে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত বড় কর্মকর্তার ভূমিকায় যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন পরামর্শকের ভূমিকায়ও। দুই ভূমিকাতেই বড় অঙ্কের অর্থ তিনি পকেটস্থ করেছেন। আর এই ভূমিকার কারণে তার বাবা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করযোগ্য আয় থেকে সাড় ৭ লাখ ডলার কমিয়ে ফেলতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে অবশ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আইনজীবীর কাছ থেকে মন্তব্য চেয়েও পায়নি সিএনএন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইভানকার নামে পরামর্শক ফি বাবদ এই অর্থ দেখানোটা অনৈতিক। নিউইয়র্ক টাইমস হয়তো এর চিহ্নটিই কেবল প্রকাশ্যে আনতে পেরেছে।

কারণ ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে পরামর্শক ফি বাবদ ট্রাম্পের দেখানো ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কোথায়, কার কাছে গেছে, তার কোনো হদিস নেই। ইভানকার অংশটি বাদ দিলে বাকি আড়াই কোটি ডলার কার কাছে গেছে, তার কোনো খোঁজ নেই।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ইভানকা ট্রাম্পের কার্যালয় ট্রাম্পের প্রচার দলের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করে সিএনএনকে। আর ট্রাম্পের প্রচার দলের মুখপাত্র টিম মারটাগ পুরো বিষয়টিই ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেন।

Next Post

সম্পর্ক জোরদারে চীনকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা ।

বৃহস্পতি অক্টো. ১ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং চলমান করোনাভাইরাস মহামারীতে অব্যাহত সাহায্য-সহায়তার জন্য বাংলাদেশের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার হিসেবে চীনের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, উভয় দেশ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সন্ধানের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে পারে। তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং সে দেশের […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links