আভা ডেস্কঃ ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ করল।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণাত্মক আচরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউক্রেনকে স্বল্পপাল্লার ট্যাঙ্কবিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের স্বল্পসংখ্যক সেনাও ইউক্রেনে যাবে দেশটির সেনাদের নতুন অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য।
তবে ঠিক কী পরিমাণ সমরাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, তা জানায়নি দেশটি।
প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, এই অস্ত্রগুলো প্রতিরক্ষামূলক, যার রেঞ্জও খুবই স্বল্প। এটি কোনো কৌশলগত অস্ত্র নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার বিশাল ট্যাঙ্কবহর মোকাবিলায় ইউক্রেনকে আরও শক্তিশালী করবে কয়েক শ মিটার রেঞ্জের এই অস্ত্রগুলো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও ২০১৮ সালে একই ধরনের জাভালিন ক্ষেপণাস্ত্র দেশটিকে সরবরাহ করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিযোগ করে আসছেন, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনের কাছে আধুনিক সমরাস্ত্র বিক্রি করছে।
এদিকে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, রাশিয়া দেশটির সীমান্তে প্রায় ১ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। জানুয়ারির শেষ দিকে দেশটি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে।
তবে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের ব্যাপারে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব।
সমস্যা সমাধানে একাধিকবার বাইডেনের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ হয়েছে। ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনা হয়েছে ভিয়েনায়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সঙ্গে জেনেভা ও ব্রাসেলসে হয়ে যাওয়া আলোচনায় কিছুটা ইতিবাচক লক্ষণ পাওয়া গেলেও রাশিয়া মূলত চায় টেকসই সমাধান, যা এই আলোচনা থেকে আসেনি।
তবে এ আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় যুদ্ধের আশঙ্কা করছে পোল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেউস মোরাওয়েক্কি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।