ডা.আব্দুল্লাহ আল ওয়াদুদ মহাদেবপুর প্রতিনিধি :- অতিবৃষ্ঠি ও টানা বন্যার কারণে সব্জীসহ নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ধারায় সাধারণ মানুষ দিশে হারা হয়ে পড়েছে। সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অধিকাংশ নিম্ন আয়ের পরিবারের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আকাশচুম্বী সবজির বাজার। চাল, ডাল, ডিম, মাছ, মাংস থেকে শুরু করে তেলের দাম এবং অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাঁচা মরিচ ও পিঁয়াজের দাম কমছেই না। করোনার কারণে একদিকে আয়ে ভাটা, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এদিকে সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে গতকাল খুচরা বাজারে মোটা চাল, খোলা সয়াবিন তেল, খোলা পাম অয়েল, ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল, পাম অয়েল সুপার, সব ধরনের ডাল, ছোলা, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, আমদানি আদা, এলাচ, ধনে, রুই মাছ, খাসির মাংসের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। সবজিগুলোর মধ্যে শুধু গোল আলু, পেঁপে ও মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকার নিচে। তবে লাল আলু প্রতি কেজি ৫০-৫৫ ও জাম আলু ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অধিকাংশ সবজির দাম ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচটি সবজির দাম ১০০ টাকা স্পর্শ করেছে। বাকি সবজির বেশির ভাগেই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি। গতকাল বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা। বাজারে নতুন আসা ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ১৫-২০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি পাকা টমেটো ১০০-১২০, গাজর ৮০-১০০, গোল সাদা ও লম্বা লাল বেগুন ৭৫-৮৫, গোল লাল বেগুন ১০০-১১০, বরবটি ৮০-১০০, করলা ৭০-৮০, পেঁপে ৪০, গোল আলু ৩০, পটোল ৭০-৭৫, ঢেঁড়স ৫৫-৬০, কচুর মুখি ৬০-৭০, ঝিঙ্গা ৬০-৬৫, শসা ৯০-১০০, কাঁকরোল ৬৫-৭০, আমদানি পিঁয়াজ ৭৫-৮৫, দেশি পিঁয়াজ ৮৫-১০০, দেশি রসুন ১১০-১২০, আমদানি রসুন ৯৫-১০০ ও প্রতি পিস লাউ ৫৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁপে বাদে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আলুর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। পেঁপের দাম স্থির রয়েছে। বাজারে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম নাগালে রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। সে ক্ষেত্রে শিম, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচের চেয়ে কম দামে মিলছে মুরগি। গরুর মাংস গত সপ্তাহের চেয়ে সামান্য কমে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ৭৫০ টাকা। ডিমের দাম বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়তি। করোনা ও টানা বন্যায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা।অপরদিকে নিত্যপূণ্যের দাম বেশী হওয়ায় ওইসব সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছেন।
Next Post
মুজিববর্ষে রাষ্ট্রপতির উপহার 'ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম মহাসড়ক' প্রধানমন্ত্রী ।
বৃহস্পতি অক্টো. ৮ , ২০২০
এই রকম আরও খবর
-
১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৫৫ অপরাহ্ন
যারা দেশকে পেছনের দিকে নিতে চায় তাদের হাতে ক্ষমতা দেয়া যায় না-তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
-
২২ আগস্ট, ২০২০, ৫:১৬ অপরাহ্ন
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মৃণাল হক
-
৫ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৩৯ অপরাহ্ন
চারঘাটের ভ্যানচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন পূর্বক আটক-২।
-
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:০৪ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা, মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ৩ জন
-
৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:২২ অপরাহ্ন
স্বাধীনতাবিরোধীরা ভাস্কর্যের বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে ও ইন্ধন দিচ্ছে, তথ্যমন্ত্রী।
-
২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৫৬ অপরাহ্ন
কাটাখালী ও পুঠিয়া পৌরসভার নির্বাচনঃ প্রার্থীদের মনোনয়পত্র দাখিল।