নাটোরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মরদেহ সনাক্ত, হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন, আসামী আটক ।

নাটোর প্রতিনিধিঃ অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টা পর মরদেহ সনাক্ত অতঃপর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ভিক্টিমের পরিচয় ও আসামী গ্রেফতার।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

গত ১৩ অক্টোবর ভোর পৌনে চারটার দিকে আসামী টুটুল আলী (২৫)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক টুটুল লালুপর উপজেলার আড়বাব মধ্যপাড়া গ্রামের মানিক আলীর ছেলে। ভিকিটিমের নাম লাকি বেগম (৩৫)। মাগুড়া জেলার সদর থানাধীন শিমুলের ঢাল নামক স্থানে নির্মাণাধীন ভবনের লেবারের শেড হতে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর নাটোরের লালপুরে অর্জনপুর বরমহাটি ইউনিয়নের ডহরশৈলা মাদ্রাসার পূর্বপাশে একটি লিচু বাগানের ভিতর থেকে আনুমানিক ৩৫ বছরের অজ্ঞাত এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান পুলিশের চারটি টিম একসঙ্গে কাজ করে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী টুটুলকে আটক করে। গত ১৪অক্টোবর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য লালপুর থানার ০২ টি টীম এবং জেলার সমন্বয়ে আরও ০২ টি টীম সর্বমোট ০৪ টি টীম কাজ করে। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়, গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে হত্যার করা মূল কাহিনী। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামী টুটুল জানায় যে, সে এবং তার দুলাভাই আসাদুল (৪০) ভিকটিম লাকীকে হত্যা করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাবিবপুর গ্রামের ইসমাইলের সাথে ভিকটিম লাকীর ১ম বিয়ে হয়।

পরবর্তীতে টুটুলের ভগ্নিপতি আসাদুলের সাথে লাকীর পরকীয়ার কারণে একাধিকবার বিয়ে হয় এবং ডিভোর্সও হয়।আসাদুল এবং লাকী পাবনার ঈশ্বরদীর সলিমপুর বক্তারপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতো। এনিয়ে আসামী টুটুলের বোনের সংসারে সবসময় কলহ লেগেই থাকতো। এই অশান্তি দূর করতে পরবর্তীতে গত ৬ অক্টোবর আসাদুল তার শ্যালক টুটুলকে ফোন দিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর লেবার লাইনে আসতে বলে।

আসামী টুটুল ঐদিন বিকেল ৩টার দিকে ঈশ্বরদীর লেবার লাইনে হাজির হয়। আসাদুল টুটুলকে ঈশ্বরদী বাইপাসে আসতে বলে এবং ভিকটিম লাকীকেও ঈশ্বরদী বাইপাসে আসতে বলে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসাদুল ও টুটুল ভিকটিমকে নিয়ে সন্ধ্যো সাড়ে ছয়টার দিকে বাইপাস হতে হাঁটতে হাঁটতে ডহরশৈলার দিকে যেতে থাকে। সেসময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রেল লাইনের কাছে পৌঁছা মাত্রই পরিকল্পনা মোতাবেক আসাদুল ভিকটিমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং গলা চেপে ধরে। আসামী টুটুল ভিকটিমের হাত ধরে রাখে এবং শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ রাস্তার পাশে লিচু গাছের নিচে রেখে পালিয়ে যায়। আসামী টুটুলকে ১৪ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করলে সে হত্যার দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

 

Next Post

আমার ও আমার ছেলের কোন ফেইসবুক আইডি নেই, ববিতা ।

বৃহস্পতি অক্টো. ১৫ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক মাতিয়েছেন এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে দূরে রয়েছেন। ববিতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না। এসব পছন্দও করেন না তিনি। কিন্তু তার নামে অসংখ্য ফেসবুক আইডি […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links