নিজস্ব প্রতিনিধিঃঃ কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে এখন হলুদের সমারোহে পুরো মাঠ সেজেছে নতুন সাজে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র। হেমন্তের শেষ দিকে উত্তরের হাওয়ায় ইতোমধ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। এরই মধ্যে মাঠে মাঠে শোভা বাড়াচ্ছে সরিষা ফুল। গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে মাথা উঁচু করে ঝিলিক দিচ্ছে সরিষা ফুলের সোনালী হাসি। সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির দল। দু-চোখ জুড়ানো এমন দৃশ্য আকৃষ্ট করছে সবাইকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৫ শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। উপজেলার কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বিনা-৯, বিনা-১১ ও স্থানীয় টরে-৭ জাতের সরিষা চাষাবাদ করেছেন।
উপজেলার ভাদুম গ্রামের সরিষা চাষি আজিজার রহমান বলেন, এ বছর ৫ বিঘা জমিতে দেশী জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার গাছ খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। বড় ডেরাহার গ্রামের কৃষক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর জানান, আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। তাছাড়া সরিষার জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, সরিষা চাষিদের মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। তাই সরিষাকে কৃষকরা লাভের ফসল হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।