নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২রা জানুয়ারী নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের অর্ন্তগত কুমিড়া পন্ডিতপুকুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বই উৎসবের অংশ হিসেবে বই বিতরণে বাঁধা প্রদান করায় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে এবং বই নিতে আসা শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং এলাকার উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের তথ্য মতে জানা যায়, সকাল ১১টায় কুমিড়া পন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যথারীতি শিক্ষার্থীরা বই নিতে আসে। ওই সময় স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান শিক্ষকদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে বই বিতরণের জন্য প্রবেশ করতে চাইলে এলাকার কতিপয় লোকজন এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান এবং শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এরই এক পর্যায়ে ৩নং ভাটরা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর কর্মী সমর্থকেরা এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমানকে সভাপতি হিসেবে মানি না ও মানবো না মর্মে মজনুর সমর্থকদের লাটিসোটা দিয়ে মারপিট করে জখম করে।
এব্যাপারে এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সুপারিশে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আমাকে অত্র বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে ৬মাস মেয়াদে কমিটি অনুমোদন দেয়। তিনি আরও বলেন, ভাটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী ও কুমিড়া পন্ডিত পুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শরীরচর্চা শিক্ষক আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে আমার কর্মী সমর্থকদের মেরে গুরুতর আহত করেন।
আহতরা হলেন, বৃকষ্ণি গ্রামের আঃ গফুরের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন (৪৫) মাটিহাঁস গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে বাবু (৪২) এবং ভাগবজর গ্রামের সদের আলী খানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আকতারুজ্জামান খাঁন।
এব্যাপারে ভাটরা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এডহক কমিটি থেকে ২জন সদস্য সেচ্ছায় পদত্যাগ করায় এলাকাবাসী বিক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে কুমিড়া পন্ডিত পুকুর তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ রায়হান বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে পরিবেশ শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। বাহিরে কিছু লোকজন অতর্কিত হামলা করে মারপিট করেছে। তৎক্ষণাৎ আমি এবং আমার ফোর্স নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।