নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দর বাজার হতে তুলাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে চলতি বর্ষায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ এসব এলাকা দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধুন্দার বাজার থেকে তুলাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বেশীরভাগ জায়গায় গর্ত তৈরী হবার কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন উপজেলা শহরের যাতায়াত করা হাজারও মানুষ কাদা পানির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে ।
উপজেলার ১ নং বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার বাজার হতে তুলাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ না হওয়ায় রাস্তার দু’পাশ ভেঙ্গে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে, বর্ষার কারণে রাস্তার মাঝখান গুলোতে তৈরী হয়েছে বড়বড় গর্ত। গর্তের কারণে ছোট-ছোট অটোবাইক,টেম্পুতে করে চলাচলরত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
অথচ, নন্দীগ্রাম উপজেলার বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠান এসব এলাকায় গড়ে উঠলেও চলাচলের অনুপোযোগী এসব রাস্তা পাকাকরণের কোন উদ্দ্যেগ এখন পর্যন্তু দেখা যায়নি। এসব এলাকায় চলাচলরত মানুষের দাবী দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও পাকাকরণের উদ্যোগ তো দুরের কথা খোঁজও নেয়নি উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কাহালু-নন্দীগ্রাম বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সরজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি এবং আমার ববরাদ্দকৃত বাজেটে ধুন্দার বাজার হতে তুলাশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার কাজের তালিকা দিয়েছি, করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে ঐ রাস্তার কাজ শুরু হবে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাগুলো অনেকদিন ধরে এমন বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা উপজেলার কোনো কর্মকর্তা খোঁজ নেয়নি। বারবার মৌখিক ও লিখিত আবেদন করলেও কোনো কাজ হয়নি। এসব রাস্তায় এখন যানবাহন তো দুরের কথা মানুষই হাটতে পারে না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শা-রিদ শাহনেওয়াজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।