নন্দীগ্রামে দামগাড়া মাদ্রাসার নিয়োগ প্রস্তুতি প্রশ্নবিদ্ধ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ছাড়া অন্য কোথাও নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এ নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা এলাকার দামগাড়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল স্নাতক মাদ্রাসার নিয়োগ নির্বাচনী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনেকটা গোপনে বগুড়া সদর উপজেলা শহরের ঠনঠনিয়া এন,এ,এন ফাযিল মাদ্রাসায় গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, মাদ্রাসার বাইরে নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষার উদ্দেশ্যই দুর্নীতি। অন্যদিকে দামগাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও গভর্নিং কমিটির বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে অনিয়ম ও নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে গত বুধবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রার্থী জাহিদ হাসান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুযায়ী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন জাহিদ। মাদ্রাসার প্যাডে চলতি ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি অধ্যক্ষের স্বাক্ষরকৃত একটি পত্র ৭ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীর কাছে পৌঁছায়। পত্রে বলা হয়, নিয়োগ নির্বাচনী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ১১ ফেব্রুয়ারি ঠনঠনিয়া এন,এ,এন ফাযিল মাদ্রাসা বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ছাড়া অন্য কোথাও নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিছুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সুবিধার লোক নন। মাদ্রাসা ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা দরকার।

প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কে এম রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) প্রতিনিধি মনোনয়ন আদেশে নিয়োগ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা থাকে। নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়াই যুক্তিযুক্ত। কোনো অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ছাড়া অন্যত্রে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।

জাহিদ হাসান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম সহ কমিটির লোকজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য নিয়োগ নিতে হলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছেন। তারা জানায়, টাকা দিলে পরীক্ষার পূর্বেই প্রার্থীকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। টাকা দিলে ওই পদে চাকরি মিলবে, টাকা না দিলে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ফেল করিয়ে দেবে।

এ ব্যাপারে দামগাড়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল স্নাতক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আব্দুস ছালাম বলেন, যদি কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, সেটা মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বুঝবে।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী বলেন, দামগাড়া মাদ্রাসার এই নিয়োগে আমাদের কোনো প্রতিনিধি নেওয়া হয়নি।

Next Post

সিআরপি পিছিয়ে পড়া কাটাখালি ও কাপাশিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে- লিটন

বৃহস্পতি ফেব্রু. ৯ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পক্ষঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) সাভার সদর দপ্তরের আদলে প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগে আঞ্চলিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে কাটাখালি পৌরসভার কাপাসিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও  রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পরিবারের পক্ষ থেকে দান করা ১৫ বিঘা জমির উপর এই পুনর্বাসন […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links