আভা ডেস্কঃ নগরের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চান্দগাঁও আবাসিকের বাসিন্দা ইনামুল হক নামে এক ব্যক্তি ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর পর তার ডেঙ্গু রয়েছে উল্লেখ করে ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
ইনামুল হক, ২৭ জুলাই শেভরনে ডেঙ্গু শনাক্তের দুইটি পরীক্ষা করি। এর মধ্যে একটি পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গুর জীবাণু রয়েছে উল্লেখ করা হয়।
পরে রিপোর্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আমির হোসেনকে দেখালে তিনি পুনরায় ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা করাতে বলেন। পরবর্তীতে একই পরীক্ষা সিএসসিআরের করালে সেখানকার রিপোর্টে ডেঙ্গু নেই উল্লেখ করা হয়।
রিপোর্ট দুটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ইনামুল হক ২৭ জুলাই বিকেলে শেভরনে ডেঙ্গু শনাক্তের পরীক্ষা আইজিজি ও আইজিএম করান। তারমধ্যে রিপোর্টে আইজিজি পজিটিভ আসে।
একইদিন তিনি সিএসসিআরে ডেঙ্গু শনাক্তের দুটি পরীক্ষা করান। পরীক্ষা দুটির রিপোর্ট দেওয়া হয় ২৮ জুলাই। রিপোর্টে আইজিজি নেগেটিভ উল্লেখ করা হয়।
ইনামুল হক বলেন, মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে। এরমধ্যে এ ধরনের ভুল রিপোর্টের কারণে মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি। শেভরনে বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শেভরন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের রিপোর্ট ভুল নাকি অন্য ল্যাবের রিপোর্ট সেটা তারা নতুনভাবে পরীক্ষা করে দেখতে চায়।
শেভরনের জেনারেল ম্যানেজার পুলক পারিয়াল বলেন, শেভরন নাকি সিএসসিআরের রিপোর্ট ভুল সেটি তো জানি না। এজন্য ওই রোগীকে অনুরোধ করবো, তিনি যেন আবারও শেভরনে পরীক্ষা করান।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে পরীক্ষার চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন শত শত রোগী পরীক্ষা করাচ্ছেন। এরমধ্যে কোনো রিপোর্ট ভুলও হতে পারে। আবার প্রিন্টিং মিসটেক হতে পারে বলে জানান পুলক পারিয়াল।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ভুক্তভোগী রোগী অভিযোগ দিলে ঘটনা তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে শেভরনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা নিউজ