নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে গত ২৯শে সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ২নং নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের রনবাঘা সোনাপুকুরিয়া গ্রামে শামীমা(২৮) নামের এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় একই গ্রামের রেহেনা খাতুনের শিশু সন্তান শামিমা দত্তক নেন এবং সন্তান দেখভালের জন্য ৩০০০০ হাজার টাকা শামীমাকে দেওয়া হয়।কিন্তু কিছু দিন পর উক্ত সন্তান কে পালন করতে পারবে না বলে সন্তাননের মা রেহেনাকে জানানো হয়।পরে রেহেনার বড় বোন সফুরা খাতুন ও বকুল হিজরা শামিমার বাড়িতে যায় এবং সন্তানসহ টাকা ফেরত চান।এরই একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।পরে শামিমা তার স্বামীকে উক্ত ঘটনা বলার পর স্বামী কোন কর্ণপাত করেনা।
উক্ত ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর শামীমা বেগমের পিতা মোঃ সাহেব আলী মারপিট ও আত্মহত্যার প্ররোচনা অভিযোগ এনে ০৪ জনের নাম উল্লেখ করে নন্দীগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোহাম্মদ আজিজুল হক (২৩), পিতা মৃত আফজাল হোসেন, গ্রাম রনবাঘা সোনার পুকুর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এস আই এ টি এম রফিকুল ইসলামের উপর।
মামলার বাদী শামীমার বাবা সাহবে আলী বলেন,আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে।এই জন্য আত্নহত্যা করেছে।
এব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,শামিমার বাবার মামলায় স্বামী আজিজুল হককে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ধরার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।