আভা ডেস্কঃ ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ২০১৩ সালে একই টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পাশাপাশি হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েন সোহাগ গাজী।
অন্যদিকে ২০১২ সালে অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দশ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন আবুল হাসান রাজু।
জাতীয় দলের এই অনিয়মিত দুই ক্রিকেটারের জন্মদিনে সম্মান জানিয়ে টুইট করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক করার গৌরব অজর্ন করা টাইগার ক্রিকেটার সোহাগ গাজীর ৩০তম জন্মদিন আজ । ১৯৯১ সালের ৫ আগস্ট বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০১২-১৩ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৬৪তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় এই স্পিনারের।
শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেন সোহাগ গাজী। তবে ওই টেস্টে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ দল।
অলক কাপালির পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট শিকার করেন সোহাগ গাজী। ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন এই অলরাউন্ডার। সেই টেস্ট ম্যাচটি ড্র হয়েছিল; ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন একই টেস্টে হ্যাটট্রিক ও সেঞ্চুরি করা সোহাগ গাজী।
বরিশালের এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের হয়ে ১০টি টেস্ট, ২০টি ওয়ানডে আর ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। দেশের হয়ে ৪০ ম্যাচ খেলে বল হাতে ৬৪ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরির সাহায্যে সংগ্রহ করেন ৫৬৬ রান।
২০১৫ সালের পর থেকে জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন সোহাগ গাজী। তবে ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার।
বরিশালের সোহাগ গাজীর মতো একই দিনে সিলেটে জন্ম হয় আবুল হাসান রাজুর। ১৯৯২ সালের এই দিনে সিলেটের কুলাউড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
২০১২ সালে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় রাজুর। সেই টেস্টে টাইগাররা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে এক পর্যায়ে ১৯৩ রানে ৮ উইকেট হারায়। দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ১০ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হাল ধরেন আবুল হাসান।
অভিষেক টেস্টে সবাইকে অবাক করে ১২৩ বলে ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৩ রানের ইনিংস সাজান রাজু। এরপর দলে কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেও নিজেকে আর মেলে ধরতে পারেননি। ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে যান এই অলরাউন্ডার। সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৮ সালে।
দেশের হয়ে হয়ে ৩টি টেস্ট, ৭টি ওয়ানডে আর ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে এক সেঞ্চুরিতে ১৯০ রান সংগ্রহের পাশাপাশি পেস বোলিংয়ে শিকার করেন ৯ উইকেট।
সুত্রঃ যুগান্তর