আভা ডেস্কঃ আগের দিন ২৩৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে বোলারদের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
শনিবার দ্বিতীয়দিনের শুরুতেই মিলেছিল আশার বারতা।
দ্বিতীয় ওভারেই আবিদ আলীকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করা আবিদ এবার শূন্য রানে আউট। কিন্তু দুই রানে প্রথম উইকেট হারানোর ধাক্কা টলাতে পারেনি পাকিস্তানকে। উল্টো ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে বাংলাদেশের বোলারদের চাপে ফেলে দেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
সেই চাপে ইবাদত-রুবেলরা ভুলে গেলেন লাইন-লেংথ। বোলারদের মধ্যে আবু জায়েদই যা একটু আলো ছড়িয়েছেন। আবিদের পর আজহার আলীকে ৩৪ রানে থামিয়ে ৯১ রানের জুটি ভেঙেছিলেন জায়েদ। কিন্তু পরের দুই সেশনে প্রাপ্তি সাকুল্যে এক উইকেট! শান মাসুদ ও বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২৩৩ টপকে দ্বিতীয়দিন শেষেই ১০৯ রানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসের সাত উইকেট এখনও অক্ষত। কাল ৮৭.৫ ওভারে তিন উইকেটে ৩৪২ রান তুলেছে পাকিস্তান।
বাবার আজম ১৪৩ ও আসাদ শফিক ৬০ রানে ব্যাট করছেন। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরই মধ্যে তারা যোগ করেছেন ১৩৭ রান। এর আগে তৃতীয় উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুই সেঞ্চুরিয়ান শান মাসুদ ও বাবর। তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ধিক ১০০ রানেই তাইজুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাসুদ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট শতকটি কার্যত তিনি উপহারই পেয়েছেন। ব্যক্তিগত ৮৬ রানে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান মাসুদ। কিপার-বোলার-ফিল্ডারদের কেউ বুঝতেই পারেননি বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়েছিল!
একইভাবে বাবরের পঞ্চম টেস্ট শতকেও বড় অবদান আছে বাংলাদেশের। বাবর ফিরতে পারতেন দুই রানেই। তাইজুলের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান ইবাদতের ব্যর্থতায়। দলকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে। দুটি ভুলের সদ্ব্যবহার করে প্রথম ইনিংসে বিশাল লিডের পথে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আজ বাবর-শফিককে দ্রুত ফেরানো না গেলে হয়তো ইনিংস হার এড়ানোর লড়াইয়ে নামতে হবে বাংলাদেশকে।