চীন ও ভারতের সেই সংঘর্ষে কত সেনা অংশ গ্রহন করেছিল ।

আভা ডেস্কঃ লাদাখে গালওয়ান উপত্যাকায় ভারত ও চীনের মধ্যে ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। ১৫ জুন রাতে সংঘর্ষে ভারতের শতাধিক জওয়ান অংশগ্রহণ করলেও চীনের পক্ষে ৩৫০ সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করে। এতে ২০ জন নিহতসহ ভারতীয় শতাধিক সেনা ফিরে আসলেও চীনের বহু সেনা হতাহত হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়।

রোববার বিজনেস টুডের প্রতিবেদনের বলা হয়, গালওয়ান নদী ও ১৪ নম্বর পেট্রল পয়েন্টের অংশে সংঘর্ষের পর কয়েকজন চীনা সেনাসদস্যের লাশ বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

গালওয়ান ঘটনায় নিহতরা বিহারের ১৬ রেজিমেন্টের সদস্য। সংঘর্ষের বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

খবরে বলা হয়, চীনা সেনাবাহিনী গালওয়ানের ১৪ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট দখল নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের ছোট একটি টহল দলকে পাঠানো হয় চীনা সদস্যদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে।

বিহার রেজিমেন্টের ওই টহল দলের সদস্যরা ১৪ নম্বর পয়েন্টে গিয়ে দেখেন ১০-১২ জন চীনা সেনা সেখানে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে পাহারা দিচ্ছে। ভারতীয় জওয়ানরা তাদের সরে যেতে বললে তারা এলাকা ত্যাগ করতে রাজি হননি। ওই সময় ভারতীয় জওয়ানরা আর কথা না বাড়িয়ে ইউনিটে ফিরে সে খবর জানান।

তবে চীনা বাহিনী বুঝতে পারে ইউনিটে গিয়ে খবর দিলে ফের ভারতীয় সেনা বড় বাহিনী নিয়ে ফিরতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দেয় তারা। পিপি ১৪-এর কিছুটা ওপরের দিকে জড়ে হয় প্রায় ৩৫০ চীনা সেনা। সেখানে মজুত করা হয় অস্ত্রশস্ত্র।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের অনড় অবস্থানের কারণে বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে ৫০ জনের একটি দল ওই পেট্রোলিং পয়েন্টে পৌঁছায়। চীনা বাহিনীকে এলাকা ছাড়তে বলায় শুরু হয় বাদানুবাদ। বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা তখন ওই অস্থায়ী কাঠামো ভাঙতে শুরু করে দেন। তাতেই শুরু হয় হাতাহাতি ও মারপিট।

কিন্তু চীন আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করেছিল। তুলনামুলক উঁচু অবস্থানে থেকে শুরু করে পাথরবৃষ্টি। খবর পেয়ে ভারতের পক্ষের পিপি-১৫ এবং পিপি­১৭এ থেকে আরও ৫০ সেনা জওয়ান পরে যোগ দেন।

প্রথমে চীনা সেনারা ১৬ রেজিমেন্টের হাবিলদার পালানের ওপর আক্রমণ করে। পরে উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে উভয় দেশের জওয়ানদের মধ্যে।

গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরের দিন সকালে চীনা সেনাদের লাশ সংঘর্ষ স্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাদের চীনা সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভারতের পক্ষে ১০০ সেনা সদস্য অংশ নিয়েছিল আর চীনা পক্ষে ৩৫০ জন অংশ নিয়েছিল। খবরে বলা হয়েছে, তবুও ১৪ পেট্রল পয়েন্ট চীনা বাহিনী থেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় জওয়ানরা।

Next Post

নাটোর লালপুরে নৌকা ডুবিতে দু যুবক নিখোঁজ ।

রবি জুন ২১ , ২০২০
নাটোর লালপুর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে লক্ষীপুর বালু ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবিতে ২ জন নিখোঁজ হয়েছে। রোববার বিকেল ৫ টার দিকে তারা চরের জমিতে চিনা বাদাম তুলে ফেরার পথে এঘটনা ঘটে। নিখোঁজরা হলেন লালপুর উপজেলার বালিতিতা ইসলামপুর গ্রামের আতব্বরের ছেলে সেলিম ও ছইমুদ্দিনের ছেলে পুকিন। এঘটনায় স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links