আভা ডেস্কঃ প্রায় এক বছরে বিশ্বে সাত কোটি ৯৭ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ১৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আক্রান্ত। সংক্রমণ প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর আবিস্কৃত হয়েছে করোনার টিকা। এখনও শতভাগ কার্যকর প্রমাণিত না হলেও বেশ কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। ৯০ বছরের এক ব্রিটিশ পেয়েছিলেন ফাইজার-বায়োএনটেকের উন্নয়ন করা এই টিকা। তবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন একটি রূপ শনাক্ত হয়েছে, যা আগেরটির তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
যুক্তরাজ্যের পরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে টিকা দেওয়া শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তেলসমৃদ্ধ এই উপসাগরীয় দেশটি ফাইজার-বায়োএনটেক ও চীনের সিনোফার্মার টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
একই দিন নিউ ইয়র্কে ফাইজারের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে জনসাধারণকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মর্ডানার তৈরি টিকার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডায় করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে ফাইজারের পাশপাশি মর্ডানার টিকারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে মর্ডানার টিকার প্রথম চালান পৌঁছেছে।
আরব উপদ্বীপের মধ্যে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের শিকার সৌদি আরব। দেশটিতে তিন লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ছয় হাজার ১৪৮ জন মারা গেছে।
এর বাইরে ইসরায়েল, কাতার, মেক্সিকো, সার্বিয়া, কুয়েত, চিলি, রাশিয়া, কোস্টারিকা ও ক্রোয়েশিয়াতে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।