নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী চারঘাট থানাধীন চকশিমুলিয়া গ্রামে ১ বছর সাত মাসের শিশু হত্যা মুল আসামী সহ সহযোগী আসামীকে আটক করেছে পুলিশ । লোভের বশবর্তি হয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটিয়েছে আসামী পারভীন বেগম, যে বাদির সম্পর্কে ভাবী হয় ।
৯ আগস্ট চারঘাট মডেল থানাধীন কালুহাটি গ্রাম সংলগ্ন বড়াল নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক বছর সাত মাস বয়সী শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা চম্পা বেগম বাদি হয়ে চারঘাট থানায় একজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন । চম্পা বেগম চারঘাট থানাধীন চকশিমুলিয়া এলাকার তারেকের স্ত্রী । এজাহার নামীয় আসামী হলেন পারভীন বেগম । পারভীন একই এলাকার আফজালের স্ত্রী ।
( অপর সহযোগী আসামী আজাদের ছবি )
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম নির্দেশনায় চারঘাট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামীকে আটক পুর্বক ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আসল রহস্য বেড়িয়ে আসে ।
আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে ও একই গ্রামের মাদকাসক্ত তার সহযোগী আসামী আজাদ হোসেন ৭ আগস্ট শিশু আলিফকে অপহরণ ও হত্যার পূর্ব পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ৮ আগস্ট শিশুটিকে কোলে নিয়ে পারভীন তার বাড়ীর সামনে রাস্তায় পূর্ব হতে অপেক্ষমান সহযোগী আসামী আজাদ এর নিকট হস্তান্তর করে। আসামী আজাদ শিশুটিকে বড়াল নদীতে ফেলে দিয়ে তার শরীরে থাকা রুপার চেইন ও কোমরের বিছা আসামী পারভীনকে দিলে সে আসামী আজাদকে এর জন্য ৩০০/-টাকা দেয়। আসামী পারভীনকে নিয়ে অভিযান করে তার বসতবাড়ীর ভিতর আঙ্গিনায় লিচু গাছের তলার নীচে মাটিতে পোতা অবস্থায় শিশু আলিফ এর রুপার চেইন ও কোমরের বিছা উদ্ধার করা হয়। আসামী পারভীন দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে আজ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। আসামী আজাদকেও গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লখ্য ৮ আগস্ট দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকায় আসামী পারভীন বাদীনির বাড়ীতে এসে তার ছেলে শিশু আলিফকে কোলে নিয়ে তার বাড়ীতে যায়। পারভীন বাদিনীর সম্পর্কে আপন ভাবী ও তারা পাশাপাশি বাড়িতে থাকে । তখন শিশু আলিফের গলায় রুপার চেইন ও কোমরে ০১টি রুপার বিছা ছিল। সেদিন দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকায় বাদীনি তার ছেলেকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে মোসাঃ পারভীন বেগম এর বাড়ীতে গিয়ে ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বীকার করে। তারপর থেকেই বাদীনির সন্তানটি নিখোঁজ ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম।