নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আমেরিকার তৈরি অত্যাধুনিক চল্লিশটি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) পশ্চিম রেলের ব্রডগেজ ট্রেনের জন্য আনা হচ্ছে । এরমধ্যে ১৬ টি ইঞ্জিন ট্রায়ালের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আটটি ইঞ্জিন ঈশ্বরদী লোকোশেডে পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সাথে ট্রেনের লোকো মাস্টারদের (চালক) নতুন ইঞ্জিনের উপর প্রশিক্ষণ এর কাজ এগিয়ে চলেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আটটি ইঞ্জিন যাত্রীবাহী ট্রেনে সংযোজন করা হবে। নতুন এই ইঞ্জিন সংযোজিত হলে একদিকে ইঞ্জিন সংকট যেমন দূর হবে, তেমনি ট্রেন চলাচলে গতিশীলতা আসবে বলে নিশ্চিত করেন সিএমই ( পশ্চিম) কুদরতে খুদা । তিনি আরও বলেন আজ পরীক্ষামূলক কপোতাক্ষ ট্রেনে নতুন একটি ইঞ্জিন প্রথমবারের মত সংযুক্ত করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহী স্টেশনে নতুন ইঞ্জিন দেখে সাধারণ যাত্রীরা ছবি, ভিডিও এবং সেলফি তুলতে ব্যস্ত।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের যাত্রীবাহী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে সংযুক্ত নতুন ইঞ্জিনটি প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ ) দুপুরে ঈশ্বরদী থেকে চালিয়ে নিয়ে আসেন লোকো মাস্টার তৌহিদুল ইসলাম। পরে দুপুর আড়াইটায় ইঞ্জিনটি একই ট্রেনে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রীদের নিয়ে রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়।
রেল সুত্র বলছে, আমেরিকার তৈরি ৩,৩০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিনটির চালক কক্ষে এসি সংযুক্ত রয়েছে। ইঞ্জিনটির সামনে ও পেছনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, একই সাথে রাতে আলোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি লাইট।
বেঁধে দেয়া গতি প্রতি ঘন্টায় ১৪০ কিলো মিটার। যদিও বাংলাদেশের রেল লাইনের গড় গতিসীমায় তুলনায় এই গতি বেশি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনের সাথে একজন করে জনবল দিয়েছে প্রাথমিক অবস্থায় এর কোন ত্রুটি পাওয়া গেলে তা সংশোধন বা নির্ণয়ের জন্য।
বাংলাদেশ রেলে সংযুক্ত নতুন ১৬টি ইঞ্জিনের সবগুলোই ব্রডগেজ লাইনের জন্য। ব্রডগেজ মিটারগেজ লাইনের জন্য পর্যায়ক্রমে আনা হবে মোট ৪০ টি ইঞ্জিন। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি নতুন ইঞ্জিন যাত্রীবাহী ট্রেনের সাথে সংযুক্ত করে চালিয়ে দেখা হবে।