গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটায়ের ব্যাপারে সিপিবির কঠোর হুশিয়ারী ।

আভা ডেস্কঃ বিজিএমইএ সভাপতির ব্যাপকহারে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সাম্প্রতিক হুমকিকে ‘চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ ও উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

শনিবার (৬ জুন) সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণবিরোধী সরকার শ্রমিকের স্বার্থ পদদলিত করে মালিকের মুনাফার স্বার্থ রক্ষা করছে। আর তাই বিজিএমইএ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ‘হুমকি’ দেওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছে। সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বিজিএমইএ শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এই খেলা অচিরেই শেষ হবে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়া হবে। লুটেরাদের পালানোর সব পথ দেশবাসী বন্ধ করে দেবে। মালিকদের অন্যায় আবদার মেটাতে সরকার নতজানু থাকলেও, শ্রমিক শ্রেণি মতলববাজ মুনাফা লোভীদের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরিণতি হবে ভয়াবহ যা বিজিএমইএ ও সরকারের কল্পনার বাইরে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মুনাফার লালসায় লুটেরা শ্রেণি কতটা বেপরোয়া, দায়িত্বহীন, হিংস্র হতে পারে, তা চলমান করোনা-মহাসংকটকালে আবারও স্পষ্ট হয়েছে। বছরের পর বছর শ্রমিকদের নির্মম শোষণ করে গার্মেন্টস মালিকরা দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। আর এখন সংকটের দোহাই দিয়ে সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। সরকারের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা নিয়েও, অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস কেটে রেখেছে। অনেক গার্মেন্টসে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হচ্ছে না। মহামারির মধ্যেই অনেক গার্মেন্টস অন্যায়ভাবে লে-অফ করা হয়েছে। ছাঁটাই করে আইনসম্মত প্রাপ্য থেকে শ্রমিকদের বিরত করা হচ্ছে। বাজেটকে সামনে রেখে সরকারকে চাপে ফেলে নতুন করে সুবিধা আদায় করতে চাইছে নির্লজ্জ গার্মেন্টস মালিকরা।

সিপিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা-মহাসংকটে গার্মেন্টস মালিকরা মুনাফার স্বার্থে ছুটির মধ্যেও গার্মেন্টস চালু রেখে শ্রমিকদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে হাজার হাজার শ্রমিককে শতশত মাইল পায়ে হেঁটে আসতে বাধ্য করেছিল। ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে অসহায় শ্রমিকদের আবার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা না করেই গার্মেন্টস খুলে দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিককে মৃত্যুকূপে ঠেলে দিয়েছে গার্মেন্টস মালিকরা। ফলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। ‘অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে’ এই যুক্তি দেখিয়ে গার্মেন্টস চালু করা হয়েছিল। আর এখন ব্যাপক হারে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে অর্ডার না থাকার কথা বলা হচ্ছে।

বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, চলমান করোনা মহামারিতে শ্রমিক শ্রেণিকে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রতিদিনই গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে। ন্যায্য পাওনা পরিশোধ না করে উল্টো শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতন, মামলা করে শ্রমিক শ্রেণির আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে শ্রমিক শ্রেণির বিরুদ্ধে মালিক শ্রেণি আর সরকারের যৌথ আক্রমণের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।

Next Post

নাটোরে মাস্ক না পড়ায় জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ।

শনি জুন ৬ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাস্ক ব্যবহার না করায় নাটোর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫১ জনকে ৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৬ জুন) দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০টি মামলা দায়ের করে এ জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম। […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links