আভা ডেস্ক: ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রথম অধিনায়ক কপিল দেব। কিন্তু তিনি চান আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র। সেটি পেলেই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান কপিল
প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। শোনা গিয়েছিল তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন একসময়ের ক্রিকেট মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বীরা। সুনীল গাভাস্কার, নভজোৎ সিং সিধু আর কপিল দেবকে নাকি আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কপিল জানিয়েছেন, তাঁকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো না হলেও তিনি সেখানে যেতে আগ্রহী।
আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র না পেলেও ইমরানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) পক্ষ থেকে কপিলকে ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা কপিল নিজেই বলেছেন, ‘আমি ইমরানের দলের কাছ থেকে একটা ফোন কল পেয়েছি। তারা আমাকে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু সেটি তো লিখিত কিছু নয়। আমি লিখিত আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষা করছি। একটা চিঠি বা ই-মেইল—এ জাতীয় কিছু।
আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলে ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আপত্তি নেই ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের, ‘আমি চাই যোগ দিতে। কেবল লিখিত আমন্ত্রণ পেতে হবে। আমি ইতিমধ্যেই ইমরানকে নির্বাচনে জয়লাভ করায় আর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দিত করেছি।’
ইমরানকে কী বলে অভিনন্দিত করেছেন কপিল? ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তাঁর অভিনন্দন জানানোর ভাষাটা ছিল অনেকটাই ক্রিকেট মাঠের মতো, ‘আমি বলেছি, “ওয়েল ডান ইয়ংম্যান”।’
ইমরানের এই বিজয়ে দারুণ খুশি কপিল, ‘আমি খুব খুশি হয়েছি যে একজন ক্রিকেটার একটি দেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। ইমরান ২০টি বছর ধরে পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠে নিরলস পরিশ্রম করে গেছে। সে এর ফল পেয়েছে নির্বাচনে জিতে। আমি আশা করছি সে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও একইভাবে দেশের জন্য কাজ করে যাবে। ক্রিকেট মাঠে সে ছিল দুর্দান্ত নেতা। তার দারুণ নেতৃত্বে পাকিস্তান দল খুব ভালো করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও সে সেই নেতৃত্বই দিয়ে যাবে তার দেশকে—এটা আমার প্রত্যাশা।’
প্রথম আলো