আভা ডেস্কঃ আক্রান্তের পর দ্বিতীয় দফায় নমুনা পরীক্ষা না করেই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় মনসুর রহমান (৩০) নামে এক যুবককে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বাড়ির বাইরে যাওয়ারও। এর পরদিনই তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) সকালে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। মনসুরের বাড়ি উপজেলার চারঘাটের ঝিকড়া গ্রামে।
এর আগে গত রোববার (২১ জুন) চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাড়ি থেকে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ারও অনুমতি মিলে তার। অথচ নেগেটিভ ঘোষণার জন্য দ্বিতীয় দফায় আরও একবার তার নমুনায় পরীক্ষার কথা ছিল। কিন্তু তা না করেই আক্রান্ত মনসুরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে কারও শরীরে যদি করোনার উপসর্গ না থাকে তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তাকে করোনামুক্ত বলা যাবে।
সে অনুযায়ী রোববার চিকিৎসকরা মনসুরকে বলেছিলেন, চাইলে তিনি এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন। তবে তার বাড়ির লকডাউন তুলে নেওয়া হয়নি। এটা করা হলে নিশ্চয় তিনি জানতেন বলেও দাবি করেন ইউএনও।
ইউএনও সৈয়দা সামিরা বলেন, মনসুর হৃদরোগে ভুগছিলেন। সে কারণেও তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যেহেতু করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মরদেহ দাফন করা হবে।
এর আগে গত ৬ জুন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করা হয় মনসুরের। পরে রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। তবে তার করোনা উপসর্গ ছিল না।
মোবাইল ফোনে মনসুর জানিয়েছিলেন, তিনি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ঢুকতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে। সেজন্যই তিনি নমুনা দিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য। এতেই তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তবে তার কোনো উপসর্গ ছিল না।