নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১ নং ওয়ার্ড ছিলো সবার উপরে। গত ৫ বছরে সেই পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডটি এখন হয়েছে রোল মডেল। ৯০ শতাংশ উন্নয়ন মূলক কাজ ও ওয়ার্ডের দুই পাশে দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতিসহ মনমুগ্ধকর রাস্তাসহ মাদকমুক্ত, ক্রিয়াশীল যুব সমাজ গঠনে সক্ষম হয়েছে। আর একবার সুযোগ পেলে প্রতিশ্রুতির দেওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চান ১ নং ওয়ার্ডের লাটিম প্রতীকের প্রার্থী রজব আলী। রজব আলী ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
৭ জুন (বুধবার) দুপুরে ইসি’র সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ওয়ার্ডের জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর প্রার্থী রজব আলী বলেন, আমি লাটিম মার্কা প্রতীকে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। এবারে ১নং ওয়ার্ডের ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে আবারও বিজয়ী করবে বলে আমি আশাবাদী। কেননা বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় আমার ওয়ার্ডে বিগত পাঁচবছরে সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, গোলজারবাগ লেক, ঈদগাহ, গোরস্থান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন করতে পেরেছি।
বিগত পাঁচটি বছর কাউন্সিলর ছিলাম, প্যানেল মেয়র-২ ছিলাম। আমরা কাউন্সিলর নির্বচিত হওয়ার পরই আমাদের নগরপিতা এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একনেকে উন্নয়ন বরাদ্দ হিসেবে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব রাখলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার স্নেহের ছোটভাই তুল্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কথা এবং এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে প্রস্তাবটি পাশ করেন৷ একনেকের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ২৮০০ কোটি টাকার মধ্যে ১৩০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আমরা জনগণের ৯০ ভাগ প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি। আমার ওয়ার্ডের উন্নয়নের মধ্যে সবচাইতে সুন্দর সড়কে প্রজাপতি সড়ক বাতি এবং সড়কের দুইপাশে সুন্দর ফুলের বাগান আমাদের জনগণকে মুগ্ধ করে। কাশিয়াঙ্গা থেকে কোর্ট ঢালুর মোড় পর্যন্ত ফোরলেনের কাজ চলমান রয়েছে, কাশিয়াডাঙ্গা থেকে কাঠালবাড়িয়া পর্যন্ত বেশ কিছু ফাঁকা জায়গা রয়েছে, যেখানে বাচ্চদের জন্য শিশু পার্ক সহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের সুন্দর ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য আইবাধের পাশে নির্মিত জাহানারা জামান মিনি স্টেডিয়ামে অনেক ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করে। রায়পাড়ার সামনে বালুরমাঠ বলে পরিচিত জায়গায় তরণ সংঘ নামে একটি ক্লাব আছে, যেটি আমার নিজ হাতে গড়া, সেখানের যুব সমাজের খেলাধুলার ভাল পরিবেশ তৈরী হয়েছে। জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভায়ের প্রচেষ্টায় পশ্চিম অঞ্চলে ১ নং ওয়ার্ডের মধ্যে একটি খেলার মাঠ একোয়ারের প্রক্রিয়াধীন। আমাদের ওয়ার্ডের সামনে যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিলিকন পার্ক, সেখানে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আইটি সেক্টরে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরীর মাধ্যমে জননেতা লিটন ভায়ের ইশতেহারের ১ নং অর্থাৎ কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ তৈরী হবে।
আমার ওয়ার্ডেে যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য মসজিদের ঈমাম-মুয়াজ্জিন-মুসল্লীদের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় মাদক বিরোধী কমিটি করে প্রায় ৯০ ভাগ মাদক মুক্ত করেছি। আবারও নির্বচিত হলে এখনও যারা এই ব্যবসায় জড়িত তাদের ডেকে বোঝাবো, এপথ থেকে সরে আসুন। এপথ শুধু আমার ওয়ার্ড নয়, দেশ জাতি ও সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ কাজ। একটি পরিবারে একজন মাদকসেবী থাকলে শুধু সে নয়, তার গোটা পরিবার, এমনকি আশপাশের মানুষের জন্যও ধ্বংসের কারণ। মাদক সমাজের সকলের শত্রু, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলাম, আছি থাকবো। আমি মাদক কারবারিদের ভোট চাই না। তাদের ভোট আমার কোনো প্রয়োজন নাই। তবুও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আমার নির্বাচনী ইশতেহার এবার একটিই আছে, আমার দেয়া প্রতিশ্রুতির অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করা।
আমার ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিকদের বলতে চাই, আধুনিক রাজশাহীর রুপকার জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী এবং সেইসাথে আমাকে লাটিম মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় নির্বাচিত করলে আমি আমার দেয়া ওয়াদা পুরণ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতি জুন ৮ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মসূচী-২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১ টায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) ড.মোঃ মোকছেদ আলী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএসএম জাফরুল্লাহ্ এনডিসি, বিভাগীয় […]
এই রকম আরও খবর
-
৯ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৪৪ অপরাহ্ন
-
৫ মে, ২০২০, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
-
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫৯ অপরাহ্ন
-
-
২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০২ অপরাহ্ন
-
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৫:৩৪ অপরাহ্ন