আভা ডেস্কঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ও আত্মত্যাগ ভারত ও বাংলাদেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টার পর বাংলাদেশে ছেড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
সফরের তৃতীয় দিনে হোটেল সোনারগাঁওয়ে শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন কোবিন্দ।
বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের জনগণের অসামান্য আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আমরা প্রবল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আপনাদের লড়াই ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য সাহসকে স্যালুট জানাই।’
বাংলাদেশিদের প্রতি ভারতীয়দের মনোভাব নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভারতীয়দের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা আছে বাংলাদেশের। অনেক বছরের স্বজাত্যবোধ, একই ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে আমাদের অনন্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’
বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে কোবিন্দ বলেন, ‘মজবুত অর্থনীতির পদযাত্রায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ভারত। বৃহত্তর সমৃদ্ধির যাত্রায় আপনার সঙ্গী হব আমরা।’
পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা মূল্যবোধের বাংলাদেশের সমর্থনে পাশে থাকবে ভারত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, একাত্তরে রক্ত এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে সুদৃঢ় বন্ধন গড়ে উঠেছে, তা আগামী দিনগুলোতে দুই দেশকে এক সুতোয় বেঁধে রাখবে।’
বক্তৃতায় বাংলাদেশিদের বাংলায় শুভেচ্ছা জানান কোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পাশাপাশি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’
‘বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, দুই দেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম পূর্তির এ অনন্য বছরে চলুন আমাদের জাতির স্থপতিদের স্বপ্নপূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই।’
এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর রমনা কালীমন্দিরের সম্প্রসারিত নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন রামনাথ কোবিন্দ।
তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মন্দিরে যান। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দ।
মন্দির প্রাঙ্গণে তাদের অভ্যর্থনা জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৫ মিনিটের মতো মন্দিরে অবস্থান করেন। সেখানে প্রথমে তিনি ভারত সরকারের অর্থায়নে সংস্কার হওয়া মন্দিরের অংশটি উদ্বোধন করেন। পরে সপরিবারে প্রার্থনায় অংশ নেন।
প্রার্থনা শেষে রমনা কালীমন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে রামনাথ কোবিন্দ ও তার পরিবারের সদস্যরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সরকার দৈনিক বাংলাকে জানান, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ এখানে গণহত্যা হয়েছিল। রমনা মন্দিরটি ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই অংশটি ভারত সরকারের সাত কোটি টাকা অনুদানে সংস্কার করা হয়েছে। ভক্তনিবাস ও মূল মন্দিরও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার সকালে ঢাকায় আসেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
সফরের প্রথম দিন বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোবিন্দ। পরে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করে নৈশভোজে অংশ নেন।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে নেমে আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টারে করে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের রাষ্ট্রপতি। সাভার থেকে ফিরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেন কোবিন্দ। বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
শুক্র ডিসে. ১৭ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরে হাজারও মানুষ শপথ নিয়েছেন। রংপুর স্টেডিয়ামে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপস্থিত হয়ে সবাই ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে […]
এই রকম আরও খবর
-
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:২২ অপরাহ্ন
-
২২ মার্চ, ২০২১, ৫:০৮ অপরাহ্ন
-
২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩৬ অপরাহ্ন
-
১৯ মে, ২০২০, ১:৩৮ অপরাহ্ন
-
১০ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৫৪ অপরাহ্ন
-
৮ জুলাই, ২০২১, ৮:২৬ অপরাহ্ন