উপজেলায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ, রাজশাহী জেলা পুলিশের কঠোর অবস্থান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম(বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সনাতন চক্রবর্তী’র কঠোর নজরদারিতে রাজশাহীর বাগমারা, দূর্গাপুর, পুঠিয়ার ফসলি জমিতে অবৈধভাবে চলমান বেশ কিছু পুকুর খনন বন্ধ হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুয়ায়ী ফসলি জমি রক্ষায় জেলা পুলিশের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় জমির মালিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আবাদি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য  প্রতিটি থানা ও তদন্ত কেন্দ্রের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার এর নির্দেশক্রমে বাগমারা, দূর্গাপুর, পুঠিয়ায় ফসলি  জমিতে চলমান  বেশ কিছু অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করতে সক্ষম হন থানা পুলিশ।

অপর দিকে পুঠিয়া ও দূর্গাপুর উপজেলায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে রাতভর অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুঠিয়া সার্কেল মোঃ রাজিবুল ইসলাম।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান তিনিও বাগমারা উপজেলায় ফসলি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে বেশ কিছু  স্থানে  অভিযান পরিচালনা করেছেন।

জমির মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও  প্রকৃত পক্ষে কোন অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ হয়নি। উল্টো যারা অভিযোগ দিয়েছে তাদের অবৈধভাবে পুকুর খনন সিন্ডিকেট এর বেড়াজালে পড়তে হয়েছে। অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে সকল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার কঠোর নজরদারি থাকা দরকার। কিন্তু অভিযানের  নামে মাত্র দু একটি গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিয়ে আসলেও  পরে সেই ব্যাটারি দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলার সাধারণ কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহী জেলা জুড়ে গত বছর যত পুকুর খনন হয়েছে, তার ৪ ভাগের ১ ভাগে খনন নেমে এসেছে। রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এর কঠোর নজরদারিতে এই অবৈধ পুকুর খনন  অনেকটা কমে গেছে। তবে পুঠিয়া থানা ও তদন্ত কেন্দ্রের আওতাধীন শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের রাতোয়াল ও সড়গাছীর বিলে থানা পুলিশের অবহেলা  দরুন এখনো রাতে  মাঝে মাঝে অবৈধ পুকুর খনন চলছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

এদিকে প্রশাসনকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু ভূমিদস্যু দালাল পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দালালরা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ঠিক গভীর রাত হলে থানার  ভিতরে ঘোরাঘুরি এদের কাজ। পুলিশ জনসাধারণের পাহারাদার সার্বজনীন কিন্তু এখন অবৈধ পুকুর খননকারীরা পুলিশকে  পাহারা দিচ্ছেন। এ ধরেন দালালদের তদন্ত ও চিহ্নিত  করতে হবে তা না হলে হয়তো পুকুর খনন নিয়ে প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সনাতন চক্রবর্তী  বলেন,রাজশাহী জেলায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমোদন ব্যতীত কোন পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না। পুকুর খনন বন্ধসহ সকল অপরাধ দমন করতে জেলা পুলিশের সদস্যগণ সচেষ্ট আছেন। পুলিশের চোখ এড়িয়ে কেউ এমন আইন বিরোধী কাজ করলে পুলিশকে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

Next Post

রাজশাহীতে ভাড়ার কথা বলে অটোরিকশা নিয়ে উধাও

সোম মার্চ ৬ , ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগরীর বহরপুর এলাকার রুবেলের গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশা চালানো কথা বলে, তিনদিন অটো চালিয়ে চতুর্থ দিনে তা নিয়ে উধাও হয়েছে সেই চোর সাদেক। ৪ মার্চ (শনিবার) অটোরিকশাটি ভাড়া নেয় মান্দা থানার জংলীপাড়া এলাকার আসুর ছেলে সাদেক হোসেন (৫২)।  ঐদিন সকালে রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links