আইন না মানলে বেসরকারি মেডিক্যালের অনুমোদন বাতিল ।

আভা ডেস্কঃ আইন লঙ্ঘন করলে দণ্ডাদেশ-জরিমানাসহ বেসরকারি মেডিক্যালের অনুমোদন বাতিল করা হবে।

এছাড়া বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকলীন (পার্টটাইম) শিক্ষক রাখা যাবে না বরং ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক রাখতে হবে; এমন বিধান রেখেই ‘বেসরকারি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন এলাকায় মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ স্থাপনে দুই একর ও অন্যান্য এলাকায় চার একর জমি থাকতে হবে। রিজার্ভ ফান্ড হিসেবে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে তিন কোটি ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে।

খসড়া আইনে আইন ভঙ্গ করলে শাস্তির কথা বলা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আইন না মানলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে। শর্তপূরণ না করলে মেডিক্যালের অনুমোদন বাতিল হবে বলেও বলা হয়েছে।’

দেশে বর্তমানে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ৭০টি, ডেন্টাল কলেজ ২৬টি, সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৩৬টি এবং একটি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এতদিন বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলো চলতো দুটি নীতিমালার মাধ্যমে। এখন দেখা যাচ্ছে নীতিমালা দিয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য একটা আইন প্রয়োজন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগ থেকে এ খসড়া আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন, একাডেমিক অনুমোদন নবায়ন, শিক্ষা কার্যক্রম, কতগুলো ছাত্র থাকবে, সেজন্য কী ফ্যাসিলিটিজ থাকতে হবে, ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কী হবে, শিক্ষকদের কী যোগ্যতা থাকবে, কলেজগুলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, আর্থিক ব্যবস্থাপনা কী হবে, কী ফ্যাসিলিটিজ থাকবে- এ বিষয়গুলো খসড়া আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপাত হবে ১:১০, অর্থাৎ প্রত্যেক ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষকের ব্যবস্থা থাকতে হবে।  মিনিমাম ছাত্র হতে হবে ৫০ জন।  ২৫ ভাগের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে, জানান সচিব।

বর্তমান নীতিমালায় অনেক কিছু স্পষ্ট না থাকায় অনেক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পার্টটাইম শিক্ষক দিয়ে চালানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি বিষয়ে কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষক থাকতে হবে, সেখানে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকবে।’

সচিব বলেন, ‘মেডিক্যাল চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি ব্যবস্থা রাখতে হবে। চিকিৎসা বর্জ্যগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, নরমাল যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সেখানে ফেললে হবে না। সেখানে থেকে ভাইরাস বা রোগ-জীবাণুর ব্যাপক প্রসার হতে পারে। এজন্য মেডিক্যাল কলেজগুলোকে মেডিকেল বর্জ্য ডিসপোজালের ব্যবস্থা রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজের ১০ শতাংশ শয্যা গরিব রোগীদের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। কলেজগুলোতে কমপক্ষে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও ডেন্টালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকতে হবে।

Next Post

ভুল রাজনীতি করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি, ওবায়দুল কাদের ।

সোম সেপ্টে. ২৮ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মন্তব‌্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলটির কর্মীরা এখন নেতাদের বিশ্বাস করে না। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছে, […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links