আভা ডেস্কঃ লটারির টিকিট কাটা স্বভাব পেশায় রাজমিস্ত্রি নূর হোসেনের। এ বিষয়ে ভাগ্যকে বেশ গুরুত্ব দেন তিনি। আর সেই ভাগ্যই সহায় হলো নূর হোসেনের।
তাও আবার তাকে সৌভাগ্য বললেও কম হবে। কারণ তিনটি লটারি কিনে সবগুলোতেই পুরস্কার পেয়েছেন এ ব্যক্তি।
গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটে ভারতের রেজিনগরের মরাদীঘি নামক এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নাস্তা সেরে রাজমিস্ত্রির কাজে বেরিয়ে পড়েন নূর। পথে এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে তিনটি টিকিট কিনেন তিনি। সেই লটারির ড্র হওয়ার কথা সন্ধ্যাবেলায়। আর সন্ধ্যাবেলাতেই যেন সৃষ্টিকর্তা তাকে উজাড় করে দিলেন।
সন্ধ্যাবেলার ফলে দেখা যায়, তিনটি টিকিটেই বাজিমাত করেছেন নূর। প্রথম পুরস্কার ২৬ লাখ রুপি লটারির টিকিটি তারই। এ ছাড়া বাকি দুই টিকিটের বিপরীতে রয়েছে ১০ হাজার রুপি ও ছয় হাজার ২০০ রুপি। এসবই জুটেছে নূরের কপালে।
ঘটনাটিকে অকল্পনীয় ও এর আগে কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন লটারির কর্ণধাররা।
সংবাদমাধ্যমটি ইতিমধ্যে নূর হোসেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পুরস্কারপ্রাপ্তির ঘোষণার পর এখনও ঘোর কাটেনি নূরের।
সাক্ষাৎকারে নূর বলেন, আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম, লটারিতে অনেক টাকা পেয়েছি। কিন্তু সেই স্বপ্ন যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে তা কোনো দিন কল্পনাও করিনি।
পুরস্কারের টাকা দিয়ে কি করবেন প্রশ্নে নূর বলেন, এত টাকা আমি একসঙ্গে চোখেই দেখিনি কখনও। তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। এত টাকা নিয়ে কী করব তা ভাবতে গিয়েই রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে আমার। তবে যা করব পরে পরিকল্পনা করেই।
বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে, যা উপার্জন হয় তা দিয়েই কোনোরকম সংসার চালিয়ে নেন নূর। মা, স্ত্রী ও মেয়ে নিয়েই তার ছোট্ট পরিবার।
নূরের স্ত্রী মার্জিয়া বিবি জানান, কখনও এক লাখ টাকাই একসঙ্গে দেখিনি। আর একদিনেই আমার স্বামী লাখপতি হয়ে গেল। এ কথা নিজের উচ্ছ্বাস আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও জানান, অভাবের সংসারের দিকে ওপরওয়ালা দয়া করেছেন। উনি এত টাকা দিয়ে কি করবেন তা ভাবতে না পারলেও আমার ইচ্ছা সেই টাকা দিয়ে মেয়েটিকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করব। সেই স্বপ্নপূরণে আর্থিক বাধা রইল না আমার।
এদিকে ঘোর কাটিয়ে উঠতে না পারা নূর হোসেন লটারির টাকা পাওয়ার পর বেঙ্গালুরুতে আর কষ্টসাধ্য রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আর নাও যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন।
যুগান্তর