আভা ডেস্কঃ যশোর কোতয়ালি থানার উত্তরপাশে রাস্তা। রাস্তার উল্টোপাশে স্বর্ণের দোকান প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্স। জুয়েলার্সে তালা মেরে সবাই গেছেন দুপুরের খাবার খেতে। বিকাল সাড়ে ৩টা মতো বাজে। দোকানের সামনে দাঁড়ানো একটি রিকশা। দোকানের সামনে এসে বসলো কয়েকজন যুবক। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে সেখানে এসে জড়ো হলো আরো কয়েকজন। সবমিলিয়ে ৭/৮ জন হবে।
এদের একজনের হাতে ভাঁজ করা একটা বড় ত্রিপলা। তারা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ত্রিপলের ভাঁজ খুলে দোকানের সামনের অংশটি আড়াল করে ফেললো। আরেকজন খুললেন ছাতা। রাস্তা থেকে দেখলে মনে হবে যেন তারা ত্রিপল ভাঁজ করবে অথবা করছে। এর মাঝেই তালা ভেঙ্গে সার্টার একটু তুলে দোকানে ঢুকে পড়লো লাল গেঞ্জি ও মাথায় টুপি পরা এক যুবক। দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরায় তখন বিকাল ৩টা ৫২ মিনিট। দোকানে ঢুকেই মুখে পরে নিল মাস্ক। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যেই দোকানের ভিতর থেকে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার নিয়ে নির্বিঘে্নে পালিয়ে গেল চোরদল।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ্য দিবালোকে যশোর শহরের ব্যস্ততম চৌরাস্তার মোড়ে কোতয়ালি থানার পাশেই দুর্ধর্ষ এই চুরির ঘটনা ঘটে।
চুরির ব্যাপারে দোকান মালিকের পিতা অলোক রায় জানান, দুপুরে বাড়ি খেতে যাওয়ার ১৫ মিনিটও হয়নি। এর মধ্যে ফোনে একজন জানান দোকানের সার্টার খোলা। তাই শুনে ছুটে এসে দেখি এ অবস্থা।
চুরির ব্যাপারে দোকান মালিক অমিত রায় জানিয়েছেন, আমার সব শেষ হয়ে গেল আমার কি হবে। আমার দোকান আমি নিজে চালাই। কোন কর্মচারি নেই। হিসাব না করে কি পরিমান সোনা নিয়েছে চোরেরা কোন কিছু বলতে পারিনা।
এব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার জানান , আলামত জব্দ করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ ভরি সোনা চুরি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। যতদ্রুত সম্ভব আসামিদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
যশোর জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র চন্দ , আজকের ঘটনা নিয়ে পঞ্চম বারের মতো দুপুরে লুটের ঘটনা ঘটলো। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত সোনা উদ্ধার করুক। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
যুগান্তর