পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ সন্দেহ করতেন স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত তাই স্বামীর পুরুষাঙ্গই কেটে দিলেন স্ত্রী। পটুয়াখালীর বহুল আলোচিত পরকীয়ার জেরে এমবিবিএস ডাক্তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার ঘটনায় অবশেষে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মম (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
গত ২৩ ডিসেম্বর ডাঃ মনির হোসেনের বোন ডাক্তার মারইয়াম আক্তার জলি বাদী হয়ে স্ত্রী, তার ভাই, পটুয়াখালী হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের নার্স গায়ত্রী রানী দাস এবং বাসার গৃহপরিচারিকা শাবানাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর সাবিনা ইয়াসমিন মম পলাতক ছিলেন। ফলে পটুয়াখালীর কাজী পাড়া ডাঃ মনির হোসেনের নিজ বাসায় তার স্ত্রীকে খুজে পাওয়া যায়নি। মামলা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে স্ত্রী সাবিনাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
ডাক্তার মনির হোসেনের স্ত্রী (সাবিনা ইয়াসমিন মম) গত ৫ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর কাজীপাড়ার মৃধা ম্যানশনের নিজ বাসায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ অপারেশনের ব্লেড দিয়ে কেটে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পর দিন দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ডাঃ শফিকুল ইসলাম পরিচালিত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডাক্তার মনির হোসেনের সাথে জনৈক এক নারীর পরকীয়ার ঘটনা ছিলো। মূলত এ ঘটনার জেরেই রাতে ডাঃ মনিরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মম। ঘটনার পর ওই দিন স্ত্রী নিজেও আত্মহত্যার প্রয়াস চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
এ ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাক্তার মনির হোসেনের স্ত্রী (সাবিনা ইয়াসমিন মম) এর ব্যাপারে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা চলমান থাকবে। বাকী আসামীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও তিনি জানান।