নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে মারধোর করেছে তার প্রতিবেশি। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছে। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারী প্রতিবেশী হীরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন নগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোডে।
জানা যায়, গত দুই বছর থেকে নগরীর রামচন্দ্রপুর বাসার রোডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমানকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছিল তার প্রতিবেশি হীরা। প্রায় প্রতিনিয়তই হীরা মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি ও উত্যক্ত করে আসছিলেন। ঈদের দিন শনিবার সাইদুর রহমান তার শ্যালক ও শ্যালিকা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সাহারা মোস্তফাকে বাসায় দাওয়াত দেন। বিকেলে বিদায়ের মুহুর্তে প্রতিবেশী হীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে হীরা তার ছোট ভাই মিলে তাদের উপর হামলা করেন। এ সময় সাইদুর রহমানকে কিল ঘুষি ও শ্যালিকা সাহারা মোস্তফাকে অস্ত্রদিয়ে আঘাত করেন। এ সময় আহত হন তার শ্যালকও।
পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে সেখান থেকে পুলিশ সেখানে পৌছে তাদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারী হীরাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনা নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন সাইদুর রহমান।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, তার স্ত্রী হোসনে আরা রহমান ও শ্যালিকা সাহারা মোস্তফাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সাইদুর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও অপর দুইজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়।
আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিতু বলেন, প্রতিবেশী হীরা আমাদের পরিবারকে ওই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করে তার বাড়ি দখল করতে দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে সমাধানের কথা বলেও কোন সুরাহা হয়নি। ঈদের ছুটিতে আমরা সবাই বাসায় এলে মামা ও খালাকে বিদায় দিতে গেলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাাল করতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে হীরা তার ছোট ভাইসহ তিনজন মিলে আমাদের মারধোর করে। এতে আমার বাবা, মা ও খালা গুরুতর আহত হয়। পরে আমার বাবা নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, একসাথে দুই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা অত্যন্ত ঘৃণিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি তদন্ত নিত্য প্রদ দাস সিল্কসিটি নিউজকে বলেন,মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামী হীরাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।