নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের কাজে চার তলার সিড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন তোজাম্মেল হক (৫৫) নামের এক প্রধান শিক্ষক। বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। ৬ তলা বিশিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে লিফটের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জেলা উপজেলা শহর থেকে আসা শিক্ষকরা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। তোজাম্মেল হকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই নিরব নির্যাতন জনসম্মুখে আসলো।
মৃত ওই শিক্ষক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের দূর্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্কুলের কাজে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে আসলে ৪ তলার সিড়িতে অজ্ঞান হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এ সময় শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গত তিন বছর থেকে শিক্ষাবোর্ডের ৬তলা ভবনের লিফট নির্মাণের বরাদ্দ থাকলেও রহস্যজনক কারণে লিফট নির্মাণ করা হচ্ছে না। বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ শিক্ষাবোর্ড পরিচালনায় প্রতিনিয়ত ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। শিক্ষক মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা দরকার।
একই সাথে ব্যর্থতার দ্বায় স্বীকার করে বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিৎ। নতুবা বর্তমান চেয়ারম্যানকে অবসারণের মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদার রক্ষার সংগ্রামে রাজশাহীর আপামর মানুষ রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।