নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে ইমামদের জন্য আবাসিক পল্লী তৈরি করা হবে বলেছেন, রাজশাহী মহানগর আওয়াম ী লীগের সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
আজ শনিবার সকালে রাজশাহী নগরীর নানকিং দরবার হলে অনুষ্ঠিত রাজশাহী মহানগরীর সর্বস্তরের ইমাম ও ওলামাগণের উদ্যোগে ঈদ পূনর্মিলনী ও মতনিময়সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সেই সময় নগরীতে জনগণের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্বার্বিক উন্নয়নের কাজ করেছি। নগরীর বিভন্ন এলাকায় তৈরি করেছি, রাস্তা, ড্রেন ও কালভাট তৈরি করেছে। এতে করে নাগরীবাসীর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার সময় সাতটি ঈদ পেয়েছে। এ সময়ে ইমাম-মোয়াজিমদের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে ঈদ শুভেচ্ছা ভাতা দিয়েছে। আমি (লিটন) চায়েছি আপনাদের সম্মানিত করতে। আলেমদের জন্য স্থানী একটি তহবিল করবো। সেই তহবিল থেকে তারা কিছু পরিমান হলো টাকা সময়মত পেয়েছে থাকবে।
লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরি করছে। রাজশাহীতেও তৈরি করা হবে মডেল মসজিদ। আল্প কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এতে থাকবে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। শেখ হাসিনার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। তিনি দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে আলেম সমাজের কোন দূরুত্ব নেই। সরকার আলেম সমাজের জন্য কাজ করছে। তাদের শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেখানে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে ইসলামিক শিক্ষা নিচ্ছে।
লিটন আরো বলেন, রাসিকের মেয়র হলে সারকারের কাছে আপনাদের (আলেম) দাবিগুলো নিয়ে যাবো সমাধানের জন্য। এছাড়া আপনাদের জন্য তৈরি করা হবে আবাসিক পল্লী। অধুনিক সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বসবাস করতে পারবেন। এছাড়া আপনাদের বিভিন্ন মসজিদের দীর্ঘ দিন ইমাম থাকার পরে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। এটা যেনো না হয় সেই জন্য তহবিল করবো। সেখান থেকে আপনারা শেষ সময়ে কিছু হলো টাকা পাবেন। যাতে করে আপনাদের শেষ জীবন একটু হলেও ভালো ভাবে কাটবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক সৈদয় আমিনউদ্দিন মাহমুদ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা।
মতবিনিময়সভায় আরো আলোচনা করেন, বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ এইচএম শহীদুল ইসলাম, রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর আবদুল আল মাদানি, রাবির আরবি বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম আল মাদানি, জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম এর মুহতামিম মুফতি মাওলানা শাহাদত আলী, হেতেম খাঁ বড় মসজিদের ইমাম ইয়াকুব আলী, মালোপাড়া শাহী জামে মসজিদের খবিত হাফেজ মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, তেরখাদিয়া মসজিদ নূর এর খতিব মাওলানা মো. রুহুল আমীন, জামিয়া দারুল উসওয়া মুহতামিম মুফতি মুহা. ওমর ফুরুক প্রমুখ ।