নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে নগরের রাজনীতি। কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পদপ্রত্যাশীরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন সক্রিয়।
প্রায় ৫ বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে মাদ্রাসা মাঠে। এ সম্মেলন সফল করতে গঠন করা হয়েছে ৯টি উপ-কমিটি।
তবে সম্মেলন ঘিরে নেতায় নেতায় নানা মেরুকরণও শুরু হয়েছে। কার সঙ্গে কে থাকবেন, কে প্রার্থী হলে কারা সমর্থন দেবেন, এমন হিসাব-নিকাশ ও চলছে। তবে শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সম্পাদক, সভাপতি পদে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের কোন বিকল্প নেই এই কথায় বলেন তৃণমূল এর নেতা কর্মীরা। ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়েই সমীকরণটা জটিল। এ পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রায় ডজন খানেক নেতা।
যাদের মধ্যে চলতি সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও বর্তমান যুবলীগ সভাপতি মোঃ রমজান আলী একজন শক্তিশালী প্রার্থী। পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুবাদে রমজান আলী নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনে শক্তিশালী অবস্থান ও সমর্থন রয়েছে। তার ৩৯ বছর রাজনৈতিক জীবন।
মোঃ রমজান আলী ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগ দেন। ১৯৮৫ সাল থেকে১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি ভোটের মাধ্যমে মহানগর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।২০০৪ – ২০১৬ সালে আবারও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহানগর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ৩৯ বছর রাজনীতিতে, ৯০ এর আন্দোলন, ৯১ এর নির্বাচন, ৯৬ এর নির্বাচন, ২০০১ এর নির্বাচন, ২০০৬ এর লঘি বৈঠার আন্দোলন, ২০০৭ এ ১/১১ এর সময় আন্দোলন সংগ্রাম, ২০০৮ সালে সিটি নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন, ২০১৩ সিটি নির্বাচন এবং ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন পরে অসহো যোগ আন্দোলনে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রদান, ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচন, ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন।
সফল ও সুন্দর ভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করতে সকল কে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে রমজান আলী বলেন, ‘‘মহানগর আওয়ামী লীগের এবার আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আমি যদি এ পদে নির্বাচিত হতে পারি তবে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে পারবো, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী ঢুকার দরজা বন্ধ করে দিব, ত্যাগী পুরনো আওয়ামীলীগার দের সামনে কাতারে রাখবো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত রুপ প্রস্ফুটিত করতে চাই, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রার প্রচার রাখবো ঘরে ঘরে, সাংগঠনিক কার্যক্রম সঠিক নিয়ম নীতির মাঝে পরিচালনা করবো, ত্যাগী আওয়ামীলীগার দের যোগ্যতা অনুযায়ী, মহানগর থেকে বিভিন্ন কমিটটির দায়িত্ব প্রদান করে, যার যেমন সম্মান তাকে তার প্রাপ্যটি প্রদান করে সংগঠন কে শক্তিশালী এবং সম্মান জনক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।