দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত সোমবার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান ফিরোজ, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, কিসমত গণকৈড় ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী মোল্লা, জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সমসের আলী, ঝালুকা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মন্ডল, দেলুয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী বাদী হয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী বাছাই কমিটির সভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্গাপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৩১/২০১৮)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১এপ্রিল উপজেলার ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। কিন্তু উক্ত স্কুল গুলোর এলাকার জনসাধারনকে বিশেষ ভাবে অবগত করার জন্য বিজ্ঞপ্তি স্থানীয় বা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করার বিধান থাকলেও তারা পত্রিকায় প্রকাশ না করে যোগসাজশে অন্যায়ভাবে তাদের পছন্দমত ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যা বে-আইনী। ফলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এলাকার জনসাধারন অবগত হতে না পারায় অনেক যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পারে নি।
এছাড়াও অর্থের বিনিময় তাদের পছন্দমত প্রার্থী উপজেলার নওপাড়া স্কুলের আব্দুল ফকিরের পুত্র শাহজামাল, কাশিপুর স্কুলের শামসুল ইসলামের পুত্র আলতাফুন, পুরানতাহিরপুর স্কুলের আশরাফ আলীর পুত্র জুয়েল রানা ও রহুল আমিনের পুত্র সোহেল রানা, যুগিশো স্কুলের রহেদ আলীর পুত্র বাদশা, নান্দিগ্রাম স্কুলের মফির উদ্দিনের পুত্র মকুল, বড়ইল স্কুলের হারেজ উদ্দিনের পুত্র রেজাউল, রাতুগ্রাম স্কুলের আফজালের পুত্র আশাদুল, তেবিলা স্কুল হতে ইদ্রিস আলীর পুত্র রাসেল, গুনাজিপাড়া স্কুলের শুনিসের পুত্র মানিক, বেড়া স্কুলের মৃত মোজাহার আলীর পুত্র আশরাফুল ইসলাম উজ্জল, তোতারপাড়া স্কুলের সমসেরের পুত্র রফিক ও শফিক, হাড়িয়া পাড়া স্কুলের হায়দার আলীর পুত্র ইয়াকুব আলী, বাগলপাড়া স্কুলের বেলাল হোসেনের পুত্র নাইম, মাড়িয়া স্কুলের ইমাজ উদ্দিনের পুত্র ইমন, চৌবাড়িয়া স্কুলের নজুমের পুত্র নজরুলকে নিয়োগ করা হবে বলে মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মান্নান ফিরোজ, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ ৫ ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, তারা বে-আইনী ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূন্ন করার চেষ্টা করছিলো। আমরা জনপ্রতিনিধিরা জনগনের স্বার্থে নিয়োগ বন্ধে মামলা করেছি। তারা অযোগ্য প্রার্থী বাছাই করে প্রত্যেকের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। এরকম অভিযোগ আমাদের কাছে রয়েছেন। অথচ এলাকার যোগ্য নিয়োগ প্রার্থীরা টাকা দিতে না পারায় তাদের চাকরি হচ্ছে না। ফলে জনগনের স্বার্থে স্কুলে নৈশ প্রহরী নিয়োগ চিরস্থায়ী বন্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দপ্তরী কাম প্রহরী বাছাই কমিটির সভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। তবে মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
সিল্কসিটি নিউজ