নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী বিরতিহীন বনলতা ট্রেনটির কোচ বা রেক পরিবর্তন হলে সুবিধা বাড়বে এ রুটের যাত্রীদের-এমনটিই দাবি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেক পরিবর্তন হলে এই রুটে চলাচলকারী অন্য তিনটি ট্রেনের (সিল্কসিটি, পদ্মা ও ধূমকেতু) যেমন সিডিউল বিপর্যয় রোধ করা যাবে, তেমনি আসনসংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তবে এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে আবারো পিছুটান নেওয়ায় সেই ভোগান্তি থেকেই যাবে বলে মনে করছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে সূত্র মতে, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়রোধে বনলতার কোচ বা রেক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। সিল্কসিটি, ধূমকেতু, পদ্মা ও বনলতার সঙ্গে খাপখাওয়াতে বনলতার রেকটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। যাতে করে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপেক্ষামান বনলতা ট্রেনটির রেক দিয়ে সিল্কসিটি, ধূমকেতু বা পদ্মা হয়ে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করতে পারে। এতে করে পরিবর্তিত কয়েক মাস আগের কেনা রেকটিতে যেমন ২০১টি আসনসংখ্যা সংখ্যা বাড়বে, তেমনি এই রুটে দুটি এসি কোচও যুক্ত হবে। কারণ বনলতায় এখন রয়েছে মাত্র দুটি এসি চেয়ার কোচ। কিন্তু পরিবর্তিত রেকের অতিরিক্ত আরো দুটি কোচ থাকবে এসি। এর মধ্যে একটি হবে এসি কেবিন। পাশাপাশি বনলতায় প্রতিটি কোচে আসনসংখ্যা যেখানে ছিল ৯২টি, সেখানে পরিবর্তিত কোচে থাকবে ১০৫ টি করে। এতে করে সাধারণ চেয়ার বাড়বে ১০৫টি এবং এসি কেবিনে সিট বাড়বে আরো ৯৬টি। সবমিলিয়ে ২০১টি আসন বাড়বে এই রেকে।
সূত্র মতে, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২৭, ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বরের তিনদিনের অগ্রিম টিকিট বন্ধ করে দিয়ে নতুন ট্রেন অনুযায়ী টিকিট বিক্রি গত ২২ ডিসেম্বর থেকে চালু করে। কিন্তু বনলতার নতুন কোচ বদল হচ্ছে এমন সংবাদ ফেসুবকে ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে আবারো আগের সিদ্ধান্তে ফিরে যেতে আজ সোমবার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েকে নির্দেশ দেন। আগের সিদধান্তটিই কার্যকর থাকলে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে যে সিডিউল বিপর্যয় ছিলো, সেটি একই অবস্থায় থাকবে।
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বনলতার যে রেক রয়েছে সেটি রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী অন্য তিনটি ট্রেনের সঙ্গে মেলে না। এ কারণে ওই রেকটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ রাজশাহী-ঢাকা রুটের চারটি ট্রেনের মধ্যে অন্য তিনটি ট্রেনেই ব্যাপক সিডিউল বিপর্যয় থাকে।এমনকি কখনো কখনো বনলতাতেও সিডিউল বিপর্যয় থাকে। কিন্তু চারটি ট্রেনেরই যখন একই মাণের রেক হবে, তখন কোনো ট্রেনই আর বসে থাকবে না। যে ট্রেনটির সিডিউল বিপর্যয় হবে, বসে থাকা বনলতার পরিবর্তে সেটি দিয়ে চালানো যাবে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘বনলতার রেকটি পরিবর্তন করে এই তিনটি ট্রেনের সঙ্গে মিলিয়ে যে রেকটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটি দেওয়া হলে তিনটি ট্রেনেই সিডিউল বিপর্যয় রোধ করা যাবে। কারণ বনলতা রাতে রাজশাহী ফিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে ১২ ঘন্টা বসে থাকে। এই সময়ে তিনটি ট্রেনের কোনোটির সিডিউল বিপর্যয় হলেই বনলতার রেক দিয়ে চালানো যাবে। পাশাপাশি যাত্রীসংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দুটি এসি কোচও বৃদ্ধি পাবে।’
এসএলএম১৯