গাড়ি মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে ড্রাইভারের প্রেম? আর তার জেরেই কি আত্মহত্যা? দিঘার হোটেলের বন্ধ ঘর থেকে অভিজিত দত্ত নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে জমাট বেঁধেছে ধোঁয়াশা।
জানা গেছে, কলকাতায় একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গাড়ি চালাতেন অভিজিত। এক সপ্তাহ আগে চিকিত্সক সুজয় দত্ত তাঁকে তাঁর গাড়িচালক হিসেবে নিযুক্ত করেন। এরপরই বৃহস্পতিবার স্ত্রী পায়েল দত্ত ও শ্যালক টিঙ্কু মণ্ডলকে নিয়ে সপরিবারে দিঘায় বেড়াতে আসেন সুজয় দত্ত। সঙ্গে আসেন ‘বন্ধুস্থানীয়’ ড্রাইভার অভিজিতও।
দিঘায় পৌঁছে ৪ জনই অনেক রাত অবধি মদ্যপান করে। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় পায়েল দত্তের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিজিত। তখন সুজয় তাঁকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন। এরপরই এদিন সকালে হোটেলের বন্ধ ঘর থেকে অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, সুজয় দত্তরা ২টি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। একটি ঘরে ছিলেন সুজয় ও তাঁর স্ত্রী পায়েল। অন্য ঘরে শ্যালক টিঙ্কুর সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক অভিজিত। ভোর ৬টা নাগাদ সমুদ্র দেখতে বেড়িয়ে যান টিঙ্কু। এরপর ৮টা নাগাদ ঘর পরিষ্কার করতে আসেন সাফাইকর্মীরা। কিন্তু অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায়, সন্দেহ হয় তাঁদের। দরজা ভেঙে গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অভিজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন হোটেল কর্মীরা।
পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবক আত্মহত্যা-ই করেছেন কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ দেখে মনে করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কারণ, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। সুজয় দত্তের শ্যালক টিঙ্কু মণ্ডল জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে বৃহস্পতিবার রাতে বেহঁশ অবস্থায় ছিলেন অভিজিত। ভুল বকছিলেন।
যদিও, মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিযুক্ত ড্রাইভারের সঙ্গে দত্ত পরিবারের এত ‘মেলামেশা’ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। একদিকে তাঁকে যেমন ড্রাইভারদের জন্য নির্দিষ্ট পৃথক ঘরে রাখা হয়নি, তেমনই অসংলগ্নতা রয়েছে সুজয় দত্ত ও পায়েল দত্তের কথাতেও। আর এসবের ফলেই যুবকের মৃত্যুর পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।