আভা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগরীতে অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসরত ৪৪৩টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নগরীতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়সহ এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকা থেকে এই ৪৪৩টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে অপসারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন জানান. নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মচারী এবং স্থানীয় চসিক কাউন্সিলরদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজন সরে গিয়ে তাদের নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাসায় নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে।
চলমান ভারী বর্ষণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ছয়টি সার্কেলের সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে সমন্বয় করে করোনাভাইরাস দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এবং কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের অধীনস্থ এলাকায় এসব আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
অব্যাহত ভারী বর্ষণের মধ্যে মানুষের জানমালের সুরক্ষায় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে। স্থানীয় মসজিদগুলো থেকেও মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোকজনকে নিরাপদ অবস্থানে আশ্রয় নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে এবং বৃষ্টির তীব্রতা অনুযায়ী মসজিদের মুয়াজ্জিনগণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে আহ্বান করা হচ্ছে।
ঝুঁকি পূর্ণ পাহাড়ের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো- মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩ নং এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনী এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, ফরেস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকার পাহাড়সমূহ।
উল্লেখ্য, বিগত ২৪ জুন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় ঝুঁকি পূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাসকারী পরিবারের ৩৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।