আভা ডেস্কঃ ক্রিকেট রানের খেলা তা বুঝে গেছে সবাই। যে কারণে খেলাটির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জনপ্রিয়তাই এখন বেশি।
মাঠে ব্যাটসম্যান থাকা মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। কিংবা নিয়মিত স্ট্রাইক বদলি দেখতে চান দর্শকরা।
ওয়ানডে-তে এ দুই ক্ষেত্রে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে চলেছে ভারত আর অস্ট্রেলিয়া। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ১১৪ ইনিংসে ৩০০-এর বেশি রান করেছে ভারত। আর ভারতের নিচেই অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান। ১০৮ ইনিংসে ৩০০-এর বেশি রান করেছে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া।
সেখানে বাংলাদেশ দলের রেকর্ডটা একেবারেই ফিকে। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯ ইনিংসে ৩০০ বা তার বেশি রান করেছেন টাইগাররা। এ রেকর্ডে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারেই তলানিতে। এমনকি জিম্বাবুয়েরও নিচে। এখন পর্যন্ত ২৮ ইনিংসে ৩০০ বা তার বেশি রান করেছে অ্যান্ডি ও গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের দেশটি।
অবশ্য এমনটি হওয়ারই কথা। একসময় কোনো দলের বিপক্ষে ২০০ পেরোনাটাই কষ্টসাধ্য হতো বাংলাদেশের। তবে সেই অবস্থানে নেই আর টাইগাররা। টাইগার দলে এখন রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম, দ্যা পিলার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের মতো ফর্ম দেখাচ্ছেন লিটন দাস।
যে কারণে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনআপ এখন বেশ শক্তিশালী। তার প্রমাণও দেখিয়ে যাচ্ছেন টাইগাররা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত বিশ্বকাপের পর থেকেই ৩০০ ছাড়ানো স্কোরের বাংলাদেশ ধারাবাহিক হতে শুরু করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ রান টানা তিন ইনিংসে ৩০০ রানের বেশি করে।
১৯ ইনিংসের মধ্যে ১৩ বারই ৩০০ রানের বেশি ইনিংস ২০১৫ সালের পর খেলেছেন টাইগাররা।
তবু বাকি সব দল থেকে কতটা নিচে বাংলাদেশ তা পরিসংখ্যান দেখলে আঁতকে ওঠার মতোই।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৪ ইনিংসে, পাকিস্তান ৮১, ইংল্যান্ড ৭৮ ও শ্রীলংকা ৭৪ ইনিংসে ৩০০ রান বা তার বেশি ইনিংস খেলেছে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ৬১ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ইনিংসে ৩০০ বা এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছে।
তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিক ইনফো