সবাই ভাবে দুর্নীতি দমনের কথা । কিন্তু দুষ্টের দমনের কথা কেউ সে ভাবে ভাবেনা -যে ভাবে ভাবা দরকার । অর্থাৎ ভাবা উচিৎ বা প্রয়োজন ।
আসলে , সামাজিক বিশৃংখলা , অন্যায় , অপরাধ, অরাজকতা , সহিংসতা , প্রতিহিংসা , নৈতিক অবক্ষয় , এমন কি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ নানান অঘটনের পরিসমাপ্তি ঘটতো যদি প্রচলিত আইনের সঠিক প্রয়োগ হতো । তাই , আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যদি মারমূখি হয়ে প্রমাণের আগেই একজন অভিযুক্তকে ধরে বেঁধে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে কাউকে ভালো মানুষ বানাতে চায় , তা কখনোই সম্ভব নয় । সম্ভব হবে তখন- যখন কোনো অপরাধীকে সঠিক ভাবে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে । কেননা , অপরাধীকে যদি চিহ্নিত অপরাধে বিচারের সম্মূখীন করা হয় , তবে শাস্তি সে পাবেই । আর একজন অপরাধী যখন অপরাধ করে শাস্তি ভোগ করবে , ঐ অপরাধী তখন অবশ্যই পরে কোনো অপরাধ করার আগে অন্ততঃ একবার হলেও সেই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে ভাববে ।
আমাদের দেশের মানুষকে ধরে বেঁধে সচেতন করা সম্ভব নয় । সব শ্রেণীরই বেশীর ভাগ মানুষ কোনো আইন , নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না । আর তাই সরকার যতই ঝকঝকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করুক না কেন , ময়লা দিয়ে ড্রেন টা ভরবেই ভরবে । নিজের কোমর ভাঙ্গবে জেনেও ঐ রাস্তায়ই কলার খোসা ফেলবেই ফেলবে -এ সব এখন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হয়ে গেছে । তাই এই সব অঘটন যে বা যারা ঘটাবে , তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে । আমরা এই মানুষেরা স এখন এতোটাই অনুভূতিহীন , মানবতাহীন হয়ে গেছি যে , রাস্তায় যদি একজন ব্যক্তিকে কেউ একটা থাপ্পড় মারে , তবে ক্ষণিকের মধ্যেই সেটা গণপিটুনিতে রূপ নেয় । অথচ রক্তাক্ত ব্যক্তির অপরাধ কি ছিলো তা কেউ-ই হয়তো জানেই না । কিম্বা জানার চেষ্টাও কেউ করে না । বরং সেই দৃশ্য অগণিত মানুষ দাঁড়ায়ে উপভোগ করে । কেউ আবার ভিডিও করে অন লাইনে প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে জানি , আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় -তাই সমাজে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে , মানুষকে সচেতন করতে আইনী পথে চলার বিকল্প নেই । সর্বস্তরে আইনের সঠিক প্রয়োগ একান্ত আবশ্যক । আমি মনে করি, সমাজের প্রতি ক্ষেত্রে অন্যায় -অনিয়ম সংঘটনকারীকে আইনের আওতায় আনলে অন্যায় , অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে । এই বিষয়ে আমি সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
সাপ্তাহিক দুর্নীতি দমন-এ্যাডভোকেট শেলী সুলতানা জামান