নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মডেল ইউনিয়ন ৪নং থালতা-মাঝগ্রাম। প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে থালতা-মাঝগ্রাম শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গ্রামকে শহরে রূপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন। ইতোমধ্যে তার প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতায় প্রতিটি গ্রামে হয়েছে উন্নয়ন।
স্থানীয়দের দাবি, দৃশ্যমান উন্নয়নে আলোকিত থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন। আব্দুল মতিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ৫ বছরে জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। কোনো গ্রামে পারিবারিক বা ব্যক্তির সমস্যার কথা শুনলেই ছুটে যান এবং স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতে হলেও গ্রামে বসেই সমস্যার সমাধান করেন। এই ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা ছিল গ্রামের কাঁচা রাস্তা। প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় ইট সোলিং হয়েছে। উন্নয়নকাজে অনিয়ম ঠেকাতে স্থানীয় জনগণসহ নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি করেন চেয়ারম্যান মতিন।
সারাদিন ইউনিয়ন পরিষদে জনগণকে সেবা দেওয়ার পরও ত্রিমহনী বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে জনগণের ভিড় দেখা যায়। পরিষদ থেকে ফিরে ব্যক্তিগত অফিসে বিশ্রামের সময়টুকুও জনগণকে দিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার আবেদন নিয়ে ছুটে যান ইউনিয়নের মানুষ। গভীর রাত হলেও যেকোনো প্রয়োজনে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে পাশে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটারেরা।
রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শহীদ মিনার নির্মাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়াসহ অসংখ্য জামে মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, স্কুল-কলেজ, ক্রীড়াঙ্গন ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আব্দুল মতিন।
আটান ও দাড়িয়াপুর গ্রামের কয়েকজন ভোটার বলেন, চেয়ারম্যান বুঝি না! তিনি ভালো মানুষ এবং মানবিক। পূর্বে দেখেছি নির্বাচনের পর অনেক চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে জনগণের কিছুটা হলেও দুরত্ব দেখা যেতো। কিন্তু আব্দুল মতিনের সময় দেখা গেল চেয়ারম্যানের সঙ্গে জনগণের অটুট আত্মীয় সম্পর্ক। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলেন, সমস্যার কথা শোনেন এবং সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন আব্দুল মতিন।
বাঁশো গ্রামের কয়েকজন ভোটার বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামকে মাদকমুক্ত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যান নিজেও মাদকসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে বাল্য বিয়ের প্রবনতা পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। সঠিক মানুষ পেয়েছে বয়স্ক, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকাল ও প্রতিবন্ধী ভাতা। সরকারের চাল বিতরণের ক্ষেত্রেও দফায় দফায় যাচাই-বাছাই করে তালিকায় সঠিক মানুষের নাম তুলেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সমন্বয়ে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে সফল চেয়ারম্যান হিসেবে প্রশংসিত আব্দুল মতিন। এ ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
৪নং থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, আমার মেয়াদের ৫ বছরে যতোটা উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছি, সবই জনগণের জানা এবং নিজেরা উপস্থিত থেকে উন্নয়কাজ তদারকি করেছেন। আমি জনগণের সঙ্গে পূর্বেও ছিলাম, এখনো আছি, আমৃত্যু জনগণের প্রয়োজনে ছুটে যাব।