আভা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীরা না বুঝে আন্দোলন করছে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। দুই সিটির ভোট আগানো বা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার নির্বাচন কমিশন এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সচিব বলেন, আন্দোলন যারা করেছে তারা বয়সে অল্প, নবীন। তারা হয়তো কেউ বুঝে, কেউ না বুঝে করছে। আমার ধারণা একটু পরই তারা বুঝে যাবে যে এটা ঠিক হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ভোটের উপর প্রভাব পড়ার কথা নয়। কারণ কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যাবে আন্দোলন করা ঠিক হচ্ছে না। এটা হয়তো বা তারা না বুঝে করছে। তাদের বুঝতে হবে সরস্বতী পূজা ২৯ জানুয়ারি। আর নির্বাচন হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি। এক ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা। এ জন্য নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আগানোরও সুযোগ নেই।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হাইকোর্টে রিট করেছিল। সেই রিটটি খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তারা তাদের যে যুক্তি তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। মহামান্য আদালত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত তারিখকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন এবং রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রিট খারিজের পর তারা জানিয়েছিলেন যে আপিল করবেন। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়েছি এখন পর্যন্ত কোনো আপিল দায়ের হয়নি। যেহেতু আপিল দায়ের হয়নি, অ্যাপিলেড ডিভিশন থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। অতএব নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ৩০ তারিখই ভোটের জন্য ঠিক আছে।
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে কমিশন সভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এ দিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অনানুষ্ঠানিক কমিশন সভায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেননি কমিশনাররা। তবে প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দ্রুততার সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম শুরু করতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে বলা হয়েছে। ভোটার করার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
যুগান্তর