আভা ডেস্কঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাইসাইকেল চুরির সন্দেহে গলায় গামছা পেঁচিয়ে যুবককে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই যুবক বলছেন, তিনি বাইসাইকেল চুরি করেননি। আর ইউপি চেয়ারম্যানের দাবি, সাইকেল চুরি যাওয়া ব্যক্তিকে শান্তনা দিতেই যুবককে শাস্তি দিয়েছেন। এ অভিযোগ সদর উপজেলার ১২নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপুর বিরুদ্ধে।
রোববার( ১৭ অক্টোবর )চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শহিদুল জানান, রোববার বিকেলে চরবাগডাঙ্গা বাজারে ধাক্কা লেগে একটি বাইসাইকেল পড়ে যায়। আমি সাইকেলটি তুলতে যাই।এসময় চোর সন্দেহে মারধর শুরু করে এলাকাবাসী। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপুকে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অনেক মারধর করে। এর আগেও চোর সন্দেহে কয়েকজনকে টর্চার সেলে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী এক ইউনিয়নবাসী বলেন, আমরা প্রথম একসঙ্গে ২৫ জন তার হাতে মার খেয়েছি। এটা তো আইনের আওতায় পড়ে। উনি কেন শাস্তি দিবেন।’
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপু জানান, আমি বাইসাইকেল চুরি যাওয়া ব্যক্তিকে শান্তনা দিতেই যুবককে শাস্তি দিয়েছি। আর বাজারে শত জনগণের মাঝ থেকে তাদের বুঝ দেয়ার জন্য আমি তাকে নিয়ে আসি। আমি কি তাকে দুইটা বাড়ি মারতে পারিনা? এটা কি আমার অধিকার নাই?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান বলেন, যদি অভিযোগ করে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।