ডা.আব্দুল্লাহ আল ওয়াদুদ মহাদেবপুর প্রতিনিধি :- নওগাঁর মহাদেবপুরে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধি দুই মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এক বিধবা মা। অতি সম্পতি বৃষ্টির কারনে তাদের থাকার পুরাতন মাটির ঘরটিও ধ্বসে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পরিবারটি। মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের বিধবা স্ত্রী মন্জুআরা তার প্রতিবন্ধি দু’কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
মন্জুআরাড় জানান, তার দু’জন কন্যা। এরমধ্যে ছোট কন্যা মোসাঃ মিনা বানু (১৯) মানসিক প্রতিবন্ধি ও বড় কন্যা রেনুকা বেগম (২২) শারীরিক প্রতিবন্ধী। দু কন্য প্রতিবন্ধি হওয়ার পরও তাদের পিতা বেঁচে থাকাকালে তাদের নিয়ে কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি জানিয়ে মন্জুয়ারা বেওয়া বলেন, আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই মাটির ঘর ছাড়া কোন জায়গাঁ-জমি নেই, আমরা হতদরিদ্র মানুষ। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বহু কষ্টের মধ্যে দিয়েই আমি আমার প্রতিবন্ধি দু কন্যাকে নিয়ে কোন রকমে সংসার চালিয়ে আসছি। এরই মধ্যে আকাশের অতিবৃষ্টির কারনে তাদের পুরাতন মাটির ঘরটিও ভেঙ্গে যায় এবং ঘর ভেঙ্গে বিধবা মা মন্জুআরা বেওয়া হাতে আঘাত পেয়ে আহত হোন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ্য হওয়ার কারনে বর্তমান আমি নিজেই ঠিকমত ঔষুধও খেতে পারছিনা অর্থের অভাবে, তারপরও দু’ প্রতিবন্ধি কন্যাকেও খাবার খাওয়ানো সহ নিজের পেটেও খাবার দিতে গিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
দরিদ্র পরিবারে দু’জন প্রতিবন্ধি মেয়ে সহ মায়ের অসহায় জীবন-যাপনের সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানিয় ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র জানান, গোয়ালবাড়ী গ্রামের দরিদ্র ফজলুর রহমানের বড় কন্যা শারীরিক প্রতিবন্ধি ও ছোট কন্যা মানসিক প্রতিবন্ধি। ফজলুর রহমান এর মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী মন্জুআরা বেওয়া প্রতিবন্ধি দু মেয়েকে নিয়ে দূর্বিষহ জীবন যাপন করছেন, জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র আরো বলেন, আসলে আমি একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে সাধ্যমত পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগীতা করছি এবং ইতি মধ্যেই প্রতিবন্ধি দু বোনের নামেই প্রতিবন্ধি কার্ড় করে দিয়েছি। সম্পতি তাদের ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনাটি আমাকে জানানো হলে সাধ্যমত সহযোগীতা করার পাশাপাশি আমি নিজেই সুপারিশ করেছি যে সুপারিশ সহ আবেদন ইতিমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছেন দরিদ্র পরিবারটি।