আভা ডেস্কঃ সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এবারের মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বারের চেয়ে ভালো হয়েছে। আগামীতে এ বইমেলাকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে।
তাছাড়া চলতি বছরের শেষের দিকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজন করা হবে। সে জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানের চেষ্টা চলছে৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ২০১৮ উপলক্ষে ‘শিক্ষিত জাতি গঠনে প্রকাশনা শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজকে যে বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৬ কোটি বই পৌঁছে যায় তার পেছনে মূল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। এর পেছনে নেপথ্যে থেকে আরও যারা অবদান রেখেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ মু্দ্রণ শিল্প সমিতি অন্যতম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ১০১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় কমিটির প্রথম সভা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরব্যাপী এ অনুষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার হওয়ায় এটি সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।
একই সঙ্গে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের জীবনমান উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী ও কলকাতার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক আবুল বাশার ফিরোজ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি কামরুল হাসান শায়ক ও বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত। যুগান্তর