নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) তাদের বাগানে চাষ করেছিল নিষিদ্ধ পপি ফুল। এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, হেরোইন ও মরফিনের মতো মাদকদ্রব্য। বাংলাদেশের আইনে পপি ফুল চাষ নিষিদ্ধ। আরডিএ বলছে- না জেনেই এ ফুল গাছ লাগানো হয়েছিল।
সোমবার আরডিএ এর ফুল বাগানে শত শত পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে। কোনো গাছে ফুল ধরে ছিল, আবার কোনো গাছের ফুলের পাপড়ি ঝরে ফল হয়ে ছিল। পাকা ফলের শুকনো কিছু গাছ কাটা অবস্থাতেও বাগানে দেখা গেছে। বাগান ছাড়াও আরডিএ ভবনের পাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এ পপি ফুলের গাছ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আরডিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমাতুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বাগান থেকে পপি ফুলের গাছগুলো ধ্বংস করার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পপি ফুলের গাছ আমি চিনিই না। না জেনে হয়ত লাগানো হয়েছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী উপ-অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, পপি গাছ দুই ধরনের হয়। এর একটি থেকে মাদক হয়। তবে বাংলাদেশের আইনে সব ধরনের পপি ফুলই নিষিদ্ধ। তাও না বুঝে ভুল করে কেউ কেউ সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে এ ফুলগাছ লাগায়। আরডিএ নিজেরাই বাগান ভেঙে দিচ্ছে। তা না হলে আমরা গিয়ে ভাঙতাম।