র‍্যাব-৫ এর এফএস সদস্যকে বেকাদায় ফেলতে মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি’র সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি: র‍্যাব-৫ এর মান ক্ষুন্ন ও একজন এফএস সদস্যকে বিতর্কিত করতে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়াতে মাদক কারবারি দম্পতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ আগস্ট সোমবার উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন মাদক মামলার আসামী লামিয়া আক্তার। পুলিশের রেকর্ড অনুয়ায়ী তিনি ও তার স্বামী শাহাজানের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। মামলা ও মাদক কারবারি লামিয়া পূর্বের ন্যায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনো। এসআই স্বাধীন (এফএস সদস্য-র‍্যাব_৫) তাদের মাদক ব্যবসায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করায় সুবিধা করতে পারছিলেন না ওই দম্পতি। ওই দম্পতি স্থানীয়দের বলেন আমি এসআই স্বাধীনকে কিভাবে এখান থেকে হঠাতে হয় তা আমার জানা আছে। (কল রেকর্ড সংরক্ষিত) আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করলে স্বাধীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। মূলত স্বাধীনকে বির্তকিত করতেই এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি এমন অভিযোগ খোদ স্থানীয়দের।
র‍্যাব-৫ সুত্র ও স্বাধীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, র‍্যাব-৫ এ তাঁর যোগদানের বয়স হলো ৬ মাস। এরমধ্যে তাদের সঙ্গে ওই র‍্যাব সদস্যের কোনো প্রকার যোগাযোগ নাই। অভিযান বিতর্কিত করতে তার স্বামীর কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্রের একটি ভিডিও ক্লিপ পাওয়ার পর থেকে র‍্যাব তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। এটা মুলত তারা বুঝতে পেরেছে। এমন ঘটনায় লামিয়া ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বলেছে সে র‍্যাব-সদস্য স্বাধীনকে দেখে নিবে। (অডিও কল রেকর্ড সংরক্ষিত) আজকের সংবাদ সম্মেলনটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
লামিয়ার প্রতিবেশী বুধপাড়া এলাকার মিন্টু, নয়ন ও শামীমের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, শাহাজানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তারা এ এলাকায় সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া ছিলো। সব জায়গায় তারা মাদক ব্যবসা চালিয়েছে। লামিয়ার ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরালও হয়েছিলো। স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
শাহাজানের অস্ত্রসহ ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হলে প্রশাসন তৎপর হয়। প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করছেন ওই নারী।

স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, কখনো তার বাড়ি’র আসে পাশে বা বাড়িতে স্বাধীন নামে ওই র‍্যাব সদস্যকে আসতে দেখিনি। শুধু পূর্বের প্রশাসনের ন্যায় বাকে আনতে বা নিতে এমন কূটকৌশল অবলম্বন করেছেন এ দম্পতি। আগে অনেক প্রশাসনের সঙ্গে তাদের সখতা ছিলো।
তবে সংবাদ সম্মেলনে লামিয়া মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন। তবে এখন তারা ভালো হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, লামিয়ার বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা ও মতিহার থানায় ৪টি মাদক মামলা রয়েছে। তার স্বামী শাহাজানের বিরুদ্ধে রাজপাড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

Next Post

নন্দীগ্রামে আরব আলী হোটেলে অভিযান, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা

সোম আগস্ট ২৫ , ২০২৫
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে আরব আলী হোটেলে অভিযান পারিচালনা করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৫ শে আগস্ট (সোমবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দৃশ্যমান স্থানে হালনাগাদকৃত মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে দই-মিষ্টিসহ অন্যান্য সামগ্রী  বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আরব আলী […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links