আভা ডেস্কঃ ব্যবসায়ী বা ডিলার না হয়েও বাড়িতে ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল মজুত করায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম মো. লায়েকুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আদালতে নিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাইবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার লালমাটিয়া এলাকার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন লায়েকুজ্জামান। পাশেই তার শ্বশুরের বাসাটিও তিনি দেখাশোনা করতেন। সে বাসাতেই ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, তিনি ব্যক্তিপর্যায়ে এসব তেল কিনে জমা করে রেখেছেন। তার কাছে এসব তেল কেনার রসিদ দেখতে চাইলে কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজের একটি রসিদ দেখান।
রসিদ যাচাই করে ১৫৯ টাকা দরে ৪০ লিটার তেল কেনার প্রমাণ পাওয়া গেছে, বাকি তেল তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। সূর্য এন্টারপ্রাইজের ওই রসিদের মাঝে হাতে লিখে তেলের পরিমাণ বসিয়ে দিয়েছেন।
লায়েকুজ্জামান রমজানে বাড়তি দামে তেল বিক্রির জন্য মজুত করেছেন বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বলেন, লায়েকুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে পেলে তাকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘লায়েকুজ্জামান কোনো ব্যবসায়ী নন, ডিলারও নন। প্রাথমিকভাবে এটি তার ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য বলেই মনে হয়েছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে তিনি তেল মজুত করেছেন। ৫১২ লিটার তেল মজুত করা ফৌজদারি অপরাধ, এটি সংকট সৃষ্টির অপপ্রয়াস।’
৪০ লিটার তেল এক দোকান থেকে কিনেছেন, বাকিগুলো কোথা থেকে, কীভাবে সংগ্রহ করেছেন তা জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
জনসাধারণকে কষ্ট দেয়ার জন্য এ ধরনের মজুতদারি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
