১৬ আগস্ট থেকে ৩২ ট্রেন সচল হবে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে অন্যান্য গণপরিবহনের পাশাপাশি সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল করছে। সেই সময় রাজশাহী থেকে শুধুমাত্র বনলতা ট্রেন চালু হয়।

এবার বাড়ছে ট্রেনের সংখ্যা। অনেকটাই স্বাভাবিক হতে চলেছে ট্রেন চলাচল। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিম রেলের মোট ট্রেনের এক তৃতীয়াংশই চালু হয়ে যাবে। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে পশ্চিম রেলে চালু হচ্ছে আরও ৫ জোড়া ট্রেন। এসব ট্রেনের টিকিট মিলবে আগামী ১১ তারিখ থেকে। এজন্য নেয়া হয়েছে সব ধরণের প্রস্তুতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ।

পশ্চিম রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী থেকে নতুন এসব ট্রেন মিলে মোট ৬টি ট্রেন চলাচল করবে। এসব ট্রেনগুলো হলো, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বনলতা ও পদ্মা এক্সপ্রেস। এছাড়াও পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা খুলনা রুটে সুন্দরবন, রাজশাহী চিলাহাটি রুটে তিতুমির এক্সপ্রেস, খুলনা চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেন চালাচল শুরু হবে। এসব ট্রেনের টিকেট আগামী ১১ তারিখ থেকে পাওয়া যাবে। তবে করোনা সংক্রমনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে টিকেট বিক্রি হবে ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ অর্ধেক ট্রেন ফাঁকা যাবে। দাঁড়িয়ে কোন যাত্রী যাতায়াতের সুযোগ পাবে না। এছাড়া কাউন্টারে মিলবে না কোন টিকিট। টিকিট মিলবে আনলাইন ও মোবাইল এ্যপসে। কেটে নেয়া কোন টিকিট ফেরত বা রিফান্ড করার সুযোগ থাকছে না। এছাড়া প্রথম শ্রেণীর রাত্রীকালীন বিছানা, চাদর, বালিশ দেওয়া হবে না। ট্রেনের ভেতরে খাবার বিক্রিও বন্ধ থাকবে।

পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ বলেন, সরকারি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। আগামী ১৬ তারিখে থেকে পশ্চিম রেলওয়ের ১৬ জোড়ায় মোট ৩২টি ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য আমাদের সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন ভাবে চলাচল শুরু করা এসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে। তবে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা এসেছে। রাত্রীকালীন যাত্রায় প্রথম শ্রেণীর যাত্রীরা আর কম্বল বা বিছানা পাবেন না। এজন্য তাদের সার্ভিস চার্জও কমবে। তিনি জানান, পশ্চিম রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে মোট ২৬ জোড়ায় ৫২টি অন্ত:নগর ট্রেন চালাচল করে।

এরমধ্যে আগামী ১৬ তারিখ থেকে সচল হচ্ছে ১৬ জোড়ায় ৩২টি ট্রেন। এছাড়া বাকি ১০ জোড়া ট্রেন চলার বিষয়ে পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। এদিকে, রোববার রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, করোনা শুরুর পর থেকে বন্ধ ট্রেন সেবা চালু হয় গত ৩১ মে। সেই সময় ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে আট জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করে। এরপর ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ৩১ মে থেকে চলাচল করা ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট লাইনে কালনী, সিলেট-চট্টগ্রাম লাইনে পাহাড়িকা বা উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী লাইনে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা লাইনে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস।

দ্বিতীয় ধাপে ৩ জুন থেকে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটে

উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চালু হয়। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 

Next Post

দীর্ঘমেয়াদি বন্যার আশষ্কা ব্যক্ত করে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী ।

সোম আগস্ট ১০ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ ভাদ্র মাসে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হতে পারে- এমন আশঙ্কা ব‌্যক্ত করে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links